ভারতের শেয়ার সূচকগুলো সোমবার (২৮ জুলাই) এক মাসের সর্বনিম্ন বন্ধের স্তরে খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকের প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল আর্থিক ফলাফলের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
নিফটি ৫০ এবং বিএসই সেনসেক্স টানা চার সপ্তাহ ধরে লোকসানের মুখে রয়েছে। এর পেছনে দুর্বল কর্পোরেট আয়, বিদেশি মূলধনের প্রবাহ হ্রাস এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা মূল কারণ। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের শুল্ক হ্রাস নিয়ে আলোচনা বাধাগ্রস্ত, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১ আগস্টের সময়সীমার আগে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির সম্ভাবনাকে ম্লান করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তি গত সপ্তাহান্তে সম্পন্ন হয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্বকারী এই দুই মিত্রের মধ্যে একটি বৃহত্তর বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে সহায়ক হয়েছে। এই চুক্তির ফলে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে, যেখানে এমএসসিআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ার সূচক (জাপান বাদে) ০.২% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত সপ্তাহে প্রায় চার বছরের সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছিল।
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক, ভারতের বাজার মূলধনের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা, শনিবার প্রথম ত্রৈমাসিকে মুনাফা হ্রাসের কথা জানিয়েছে। সম্ভাব্য খারাপ ঋণের জন্য বেশি তহবিল সংরক্ষণ এবং ঋণ প্রদানের মার্জিন সংকোচনের কারণে এই হ্রাস ঘটেছে, যা বাজারের মনোবলের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি এবং শক্তিশালী দেশীয় কর্পোরেট আয় বাজারের মনোবল উন্নত করতে পারে। তবে, বর্তমান অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক রয়েছেন, এবং বাজার মূলত স্টক-নির্দিষ্ট প্রবণতার দিকে মনোনিবেশ করছে।