মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গুহ রোড়ের পাশের ফুটপাতের কাজে অনিয়ম জানতে পেরে ফেসবুক লাইভে আসেন এক সাংবাদিক। সেখানে সেই সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে লাঞ্চিত করেছেন এক ঠিকাদার। এই ঘটনার ভিডিও চিত্র এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। লাঞ্চিত হওয়ায় অই সাংবাদিকের হলেন কালবেলা পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ও শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এসকে দাশ সুমন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড এর একটি ভিডিওতে দেখা যায় শহরের গুহরোডে রাস্তার পাশের ফুটপাতের উপর পুরাতন টাইলস ভেঙ্গে নতুন টাইলস লাগানোর কাজ চলছিলো। এসময় দুপুরে সেখানে যান এসকে দাশ সুমন। সেখানে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে লাইভে এসে টাইলস বসানোর মসলা (সিমেন্ট ও বালু) হাতে নিয়ে দেখান যে বালুর পরিমান বেশী, সিমেন্ট কম। এসময় অই কাজের ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন সেই জায়গায় উপস্থিত হয়ে এসকে দাশ সুমনকে অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করতে দেখা যায়। পরে আরোও সাংবাদিকদের বিভিন্ন রকম বাজে ভাষার প্রয়োগ করেন এবং হুমকি ধামকি দেন। তবে হুমকি দাতা ঠিকাদার সাবেক কৃষিমন্ত্রীর বিগত ১৭ বছরের আস্ধথাভাজন পরিচয় বহন করে চলেছেন আওয়ামী দোষর। একপর্যায়ে দুইজনের ভিতর বাকবিতন্ডার পর্যায়ে ঠিকাদার সেখান থেকে চলে যান। আরেক ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ তিনি কিছু সময়ের মধ্যে এসে উপস্থিত হয় এবং তার ও মারমুখী আচরণ প্রয়োগ করা শুরু করেন।
এসময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন বলেন, এখানে আগের টাইলসই ভালো ছিলো। সেগুলো ভেঙে নতুন করে এভাবে নিম্ন মানের কাজ করা হচ্ছে। বালুর পরিমানই বেশী দিচ্ছে তারা। এগুলো কেউ দেখছে না।
এসকে দাশ সুমন বলেন, আমাকে সকাল থেকেই অনেক লোকজন ফোন করে বলছেন কাজে অনিয়ম হচ্ছে। তো আমি সেখানে গিয়ে প্রমান রাখার জন্য ফেসবুকে লাইভ করছিলাম। হঠাৎ করেই ঠিকাদার এখানে এসে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে। অন্যান্য সাংবাদিকদেরও গালাগাল দিতে থাকে। আমি ভালো করে এখানে দেখেছি, এখানে অনেক অনিয়ম হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এই বিষয়ে ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন’কে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেনকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি জানান,এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্রশাসক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ফুটপাতের টাইলস বসানো নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সত্যতার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।