বরিশালের বাকেরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী পুষ্টি মেলা ও শিখন কার্যক্রম। পটগান, নৃত্য, নাটক, র্যালি, কুইজ, পুষ্টিকর খাবারের মনোমুগ্ধকর আয়োজন ও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে মুখর ছিল পুরো অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
সোমবার বোয়ালিয়া জে.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত এবং এর গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) মেলার আয়োজন করে।
মেলার শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বোয়ালিয়া বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অংশগ্রহণকারী নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। গেস্ট অফ অনার ছিলেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. শামসুদ্দোহা তৌহিদ, পিকেএসএফ-এর আরএমটিপি প্রকল্পের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ কপিল কুমার পাল, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহাগ এবং বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী আনসার তালুকদার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিজেইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। সভাপতিত্ব করেন বোয়ালিয়া জে.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুর রহমান মোল্লা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী অনেকেই জানান, তারা পুষ্টি সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য জেনেছেন, যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আগত প্রয়াস হোপ থিয়েটার ইনস্টিটিউটের শিল্পীদের পরিবেশিত পুষ্টি ও সচেতনতামূলক গম্ভীরা গান এবং পুষ্টি বিষয়ক নাটক।
মেলায় পুষ্টিবিষয়ক স্টল, কৃষি তথ্য প্রদর্শনী, ভিটামিন ও খনিজ সম্পর্কিত তথ্য, রান্নার কৌশল প্রদর্শনী, বসতবাড়ির বাগান মডেলসহ মোট ১০টি স্টলের মাধ্যমে শিশু, অভিভাবক ও দর্শনার্থীদের পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়াও মেলায় আগত রোগীদের জন্য বিনামূল্যে পুষ্টি পরামর্শ, ডায়েট পরিকল্পনা, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।
আয়োজকরা জানান, জনগণের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে।