বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নজিরবিহীন প্রাণহানিসহ বহুমাত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় হুকুমদাতাদের আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজ (বুধবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ: দুর্নীতি প্রতিরোধ, গণতন্ত্র ও সুশাসন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যারা সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে দায়ী, তাদের জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক মানের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা উচিত। এ লক্ষ্যে যথাযথ আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
টিআইবি আরও জানায়, বর্তমান সরকারের প্রাধান্যপ্রাপ্ত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে শান্তি-শৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধে উদাহরণমূলক জবাবদিহির জন্য দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর, সিআইডি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর মতো সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কৌশলগত প্রস্তাবনার ধারাবাহিকতায় টিআইবি খাত ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করতে আগ্রহী।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি রাষ্ট্র সংস্কারে বেশ কিছু সুপারিশমালা তুলে ধরেছে, যা নতুন বাংলাদেশের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলপত্র প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে। টিআইবি মনে করে, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সহজ নয়, তবে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং আন্দোলনের মূল চেতনাকে সবার মধ্যে ধারণ করতে হবে।