সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের প্রেক্ষাপটে নতুন এক অধ্যায় রচিত হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই পদত্যাগের পর থেকেই দেশে ক্রমবর্ধমানভাবে তার এবং তার দলের বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা মামলা দায়ের হচ্ছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৩ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৭৪টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় কেবল শেখ হাসিনাই নন, তার দলের এমপি-মন্ত্রী, পুলিশ, এবং র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে।
মামলাগুলোর বিবরণ
প্রথম হত্যা মামলাটি হয় ১৩ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায়। এরপরের দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। ১৬ আগস্ট ঢাকা ও বগুড়ায় পৃথক দুটি মামলা, ১৭ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক তিনটি মামলা, ১৮ আগস্ট ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আটটি মামলা এবং ২০ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়াসহ আরও দশটি মামলা দায়ের হয়। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকা এবং সারাদেশে মোট ৭৪টি হত্যা মামলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও মামলা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেবল দেশের আদালতগুলোতেই মামলা হচ্ছে না, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, যার ফলে এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে সাতটি মামলা হয়েছে।
পর্যালোচনা
এই মামলাগুলোতে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে এই মামলা এবং অভিযোগগুলো ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক চিত্রে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
দেশের জনগণের মধ্যে এই মামলাগুলো ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ এবং উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে, যা আগামী দিনের রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।