দেশের পরিবহন সেক্টরে আর কখনো চাঁদাবাজির সুযোগ থাকবে না—এমনই কঠোর অঙ্গীকার করেছেন ঢাকা সড়ক মালিক সমিতির নতুন নেতৃত্ব। শনিবার রাজধানীর পরীবাগের বোরাক টাওয়ারে সমিতির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
নতুন কমিটির কনভেনর সাইফুল আলম এবং আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন সেক্টরের সংস্কার এবং আগামী দিনের একশন প্লান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তারা উল্লেখ করেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সৃষ্ট পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো হবে এবং দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অধীনে পরিচালিত করা হবে।
নেতৃত্ববৃন্দ জানান, সেক্টরের যাত্রী ও মালিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং কোনোভাবেই চাঁদাবাজি পুনরাবৃত্তি হবে না। তারা সাতটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে যাত্রীবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা, সড়ক দুর্ঘটনা কমানো, এবং সকল আঞ্চলিক কমিটিতে বৈধ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অতীতের চাঁদাবাজির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এই নতুন নেতৃত্ব জনকল্যাণমুখী পরিবহন সিস্টেম গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে চাঁদাবাজি মুক্ত একটি সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
সাইফুল আলম এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাসের বিষয়ে কিছু গসিপের সমালোচনা করে বলেন, মির্জা আব্বাস এক সময় পরিবহন রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তার গাড়িগুলো চাঁদাবাজদের হাতে ধ্বংস করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি আর কোনোভাবেই পরিবহন সেক্টরের সাথে যুক্ত নন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন না।
নতুন নেতৃত্বের এই অঙ্গীকার এবং একশন প্লানের মাধ্যমে দেশের পরিবহন সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে। জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে এবং পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।