ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া কুঞ্জপট্রি গ্রামে দিনব্যাপী র্যলি , আলোচনা সভা ও পুষ্টির উপর ব্যতিক্রমী পুষ্টি মেলা ও শিখন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও এডমিন) মোঃ সেহান সরকার।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জান উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) মেলার আয়োজন করে। জিজেইউএস-এর পরিচালক (মাইক্রোফিন্যান্স) মোঃ হুমায়ুন কবির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাগর মল্লিক, ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাইবুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র হালদার এবং গেস্ট অফ অনার হিসেবে পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপক ও আরএমটিপি প্রকল্পের নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট কপিল কুমার পাল।
এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পরিচালক (লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও প্রোগ্রাম) অ্যাডভোকেট বিথি ইসলাম এবং উপ-পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোঃ মোস্তফা কামাল।
মেলায় সচেতনতামূলক মেডিকেল ক্যাম্প, পুষ্টিবিষয়ক স্টল, কৃষি তথ্য প্রদর্শনী, ভিটামিন ও খনিজ সম্পর্কিত তথ্য, রান্নার কৌশল প্রদর্শনী, ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন) বিষয়ক মডেল, বসতবাড়ির বাগান মডেলসহ মোট ১০টি স্টলের মাধ্যমে শিশু, অভিভাবক ও দর্শনার্থীদের হাতে-নাতে পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
পরে পুষ্টি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দর্শনার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মেলায় আগত রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এর আগে বন্যাঢ্য এক র্যালি ভেলুমিয়া বাজার ঘুড়ে স্কুলে এসে শেষ হয়।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আগত প্রয়াস হোপ থিয়েটার ইনস্টিটিউটের শিল্পীদের পরিবেশিত পুষ্টি ও সচেতনতামূলক গাম্ভিরা গান ও পুষ্টি বিষয়ক নাটক।
আয়োজকরা জানান, এ মেলার মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশেষ করে সুষম খাদ্যের গুরুত্ব, পুষ্টি বিষয়ক ভুল ধারণা ও খাদ্যাভ্যাস সংশোধন, বিভিন্ন বয়সভেদে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা, শিশুর খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর স্কুল টিফিন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
দর্শনার্থীরা মেলার আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রতি বছর এমন জনগুরুত্বপূর্ণ মেলা আয়োজনের জন্য আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানান।