লালমনিরহাট জেলা হাতীবান্ধা উপজেলায় ডাক্তারের অবহেলা ভুল চিকিৎসা সিন্ডিকেটের খপ্পরের কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার বর্গ । শুক্রবার বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার হেলথ্ এন্ড মেডিকেয়ার ক্লিনিকে এ-ই নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবী ঐ ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা: তৌফিক আল-আমিনের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পরেই স্থানীয় জনতা ওই ক্লিনিকের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে অবস্থা বেগতিক দেখে গাঁ ঢাকা দেয় ডাক্তার তৌফিক আল-আমিন।
হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল এলাকার রহিছুল ইসলামের অভিযোগ, তার গর্ভবতী স্ত্রী খাদিজা বেগমকে হেলথ্ এন্ড মেডিকেয়ার ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। ওই ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক ডা: তৌফিক আল-আমিন পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে সিজারের সিদ্ধান্ত দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে সিজার হয় ও মেয়ে সন্তান জন্মলাভ করেন। সকালে নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসক ডা: তৌফিক আল-আমিন এর কাছে গেলে তিনি পরীক্ষা নিরিক্ষার নামে কালক্ষেপন করতে থাকেন। নবজাতককে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও বাধা দেয় ক্লিনিকের কর্মচারীরা। শেষ মুহুর্তে চিকিৎসা শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরে নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ক্লিনিকের মালিকপক্ষ মৃত নবজাতক বাচ্চাটিকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
নবজাতকের খালা মারুফা বেগম জানান , বাচ্চা অসুস্থ হলেও ডাক্তার শুধু পরীক্ষা আর পরীক্ষা করে, কোন চিকিৎসা দেন নাই। পরে অবস্থার বেগতিক হলে তারাহুড়া করে কি যেন চিকিৎসা দেয় ? তার কিছুক্ষণের মধ্য বাচ্চাটি মারা যায়। তিনি আরও দাবী করে বলেন, ভুল চিকিৎসা ও পরীক্ষার নামে টাকা নামাতে থাকে,এ কারণেই বাচ্চাটির মৃত্যু ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, হাতীবান্ধায় বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও প্যাথলজি গড়ে উঠেছে। এসব ক্লিনিক ও প্যাথলজিতে নিয়মনীতি তোয়াক্তা না করে অনিভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। ফলে প্রায় সময় চিকিৎসকদের অবহেলা সিন্ডিকেটের জের ও ভুল চিকিৎসার কারণে প্রতিনিয়ত নবজাতক ও রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।এছাড়াও আরো বলেন ডা: তৌফিক আল আমিন এর স্ত্রী ডা: সায়মা শারমীন ফ্লোরা বিডিএস দাতের চিকিৎসার কথা বলে অনেক প্রকার অযথা টেস্ট করান যা অপ্রয়োজনীয়,এবং ডা: তৌফিক আল আমিন এর আগেও সুন্নত খৎনায় ভূল করেছিলেন কিন্তুু সেবার পার পেয়েছিলেন।ডাঃ সম্পর্কে এস্থানীয় লোক জন বলেন ডাক্তার বাড়ী হাতীবান্ধা উপজেলায়,ওনার স্ত্রী ও দাঁতের ডাক্তার,ডাক্তার আলীমুদ্দীন সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে,এরপর কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে ওনার স্ত্রী প্রাইভেট মেডিকেল থেকে বিডিএস পাশ করে,এনারা মানুষের সাথে ভালো করে কথাও বলেনা,গেলেই শুধু টেস্ট আর টেস্ট,আমার কথা হলো ডাক্তারের যদি দোষ নাই থাকে সে পালাবে কেন?
তবে এ নিয়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ডাক্তার তৌফিক আল-আমিনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
হাতীবান্ধা হেলথ্ এন্ড মেডিকেয়ারের শেয়ার পাঠনার দবিয়ার রহমান দবি জানান, বাচ্চা সুস্থ ছিল। আজ দুপুরের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে দ্রুত বাচ্চাটিকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য প :প: কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার আনোয়ারুল হক বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি
, খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত করে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সাংবাদিক রা স্থানীয় সাধারণ জনগণের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান যে বাংলাদেশে চিকিৎসা খাত দুর্নীতিতে ভরে গেছে ডাঃ রা কসাইয়ের রুপে রুপান্তর হয়েছে, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হইলো।