1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা সদর উপজেলার শিক্ষা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ট্রলার মাঝি হত্যার মামলায় পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির গ্রেফতার পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে প্রবেশে শিক্ষার্থীকে আটক করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা কুলাউড়ায় ভারতীয় ৩ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তাটি প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ ভিয়েতনামে Xbox উৎপাদনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ফক্সকনের রুপি ৯০ ছাড়িয়ে পতন, মার্কিন শুল্ক ও বিনিয়োগ বহিঃপ্রবাহে চাপ ফিউজলেজ প্যানেলে ত্রুটি: ৬২৮টি এয়ারবাস A৩২০ পরিদর্শনের মুখে ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ব্ল্যাকরক দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারিগুলোতে মতামত পরিবর্তন করল, এআই অর্থায়নের ঢেউয়ে ঋণ খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা

পুলিশ ফাঁড়ির অবস্থা শোচনীয়: দেড় যুগ ধরে অফিস এক পরিত্যাক্ত খাদ্য গুদামে

গোপাল হালদার, পটুয়াখালী
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার মূল প্রতিষ্ঠান একটি পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীরা গত দেড় যুগ ধরে একটি পরিত্যাক্ত খাদ্য গুদামে তাদের অফিসিয়াল কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই গুদামটি যেখানে অবস্থিত, সেটি একটি ভগ্নপ্রায় ভবন যা কোনো রকমে মেরামত করা হয়েছে তাদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী থানা থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বদিকে গাজীপুর বন্দর। এই বন্দরের মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর তৎকালীন এমপি মো. মতিয়ার রহমান তরিঘরি করে সরকারী একটি খাদ্যগুদামে অফিস বানিয়ে পুলিশ ফাড়ির কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন।

ফাঁড়িতে ২ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৩জন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ও ১৩ জন কনেস্টবলসহ মোট ১৮জন পুলিশ সদস্যের পদায়ন করে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

ফাঁড়ির শুরুতে স্থানীয় একটি মাল রাখার খাদ্যগুদামে অফিস বানানো হয়। ভবনটির দুই পাশে ১০ ফুটের দুটি দরজা ছাড়া চারপাশে কোন জানালা নেই। এই ভবনেই অফিস, থাকা খাওয়াসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন এই ফাড়ির ১৮ জন সদস্য।

রবিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের দুই পাশে বিশাল আকারের দুটি দরজা, দরজা আটকানোর জন্য লোহার একটি পাল্লা থাকলেও তা মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ায় এখন আর নারানো যায় না। দরজা খোলা থাকে সবসময়। ভবনের চারপাশে কয়েকটি ভেন্টি লেটর ছাড়া কোন জানালা নেই। ভবনের উত্তর পশ্চিম কোনে অফিস বানানো হয়েছে। এখানে বসেই অফিস পরিচালনা করতে হয়। ভবনের ভিতরে বিশাল খোলা চত্তরের দুই পাশে কাপর দিয়ে বেড়া টানানো সাড়ি সাড়ি কাঠের চৌকি। এই চৌকিতেই রাত কাটাতে হয় পুলিশ সদস্যদের। খাওয়া দাওয়া যার যার চৌকির উপরেই বসে সারতে হয় সবার।

অফিসের জন্য জ্বালানো আলোর মধ্যেই সারা রাত ঘুমাতে হয় তাদের। এছাড়া ১০ ফুটের লোহার দরজাটি আটকানো জায়না ফলে শীত বর্ষা সব মৌসুমেই খোলা রেখে ঘুমাতে হয় তাদের। এতে শীত মৌসুমের ঠান্ডা বাতাসে অনেকে বুকের ব্যাথাসহ শীতকালীন নানান রোগে ভুগে থাকেন।

গাজীপুর বন্দরের স্থায়ী বাসিন্দা মো. ছালাম মোল্লা বলেন, পরিত্যাক্ত নরবড়ে ভবনে পুলিশ ফাঁড়ি। ভববনটি যে কোন সময় ধ্বসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য ফাঁড়ির জন্য দ্রæত ভবন নির্মান করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, তাপদাহের কারণে ছাদ গরম থাকে। জানালা না থাকায় ঘরের ভেতর বাতাস প্রবেশ করে না। প্রচণ্ড গরমে রাতে ঘুম হয় না। আবার শীতকালে ঘর স্যাঁতসেঁতে থাকে। খোলা দরজা দিয়ে হুহু করে বাতাস ঢোকে। মাঝেমধ্যেই ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান তারা।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ দপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট