
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীরা সক্রিয় রয়েছেন। বিশেষ করে পটুয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলায় মোট চারটি সংসদীয় আসন রয়েছে, যা ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রভাবাধীন ছিল। তবে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি চারটি আসনই জয়লাভ করেছিল। বর্তমান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি সুযোগ নিতে চায়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান টোটন জানান, দল চারটি আসনেই প্রার্থী দেবে এবং বিজয়ী হবে।
পটুয়াখালী-১ আসনে (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) বিএনপির প্রার্থী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। অন্য প্রার্থীরা হলেন গণঅধিকার পরিষদের শহিদুল ইসলাম (ফাহিম), জামায়াতের অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মুফতি হাবিবুর রহমান।
পটুয়াখালী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী শহিদুল আলম তালুকদার। জামায়াতের ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। অন্যরা হলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মুফতি আব্দুল মালেক আনোয়ারী, গণঅধিকার পরিষদের হাবিবুর রহমান এবং এনসিপির অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম সাহীন।
পটুয়াখালী-৩ আসনে (গলাচিপা ও দশমিনা) বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুন শক্তিশালী। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নুরুল হক নুর জানান, জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। অন্য প্রার্থীরা হলেন জামায়াতের অধ্যাপক শাহ-আলম এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মুফতি আবু বকর সিদ্দিক।
পটুয়াখালী-৪ আসনে (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) বিএনপির প্রার্থী এ বি এম মোশাররফ হোসেন। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। অন্যরা হলেন গণঅধিকার পরিষদের রবিউল হাসান এবং জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম।