
পটুয়াখালী-১ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রার্থী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর প্রধান নির্বাচন সহকারী ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ পান্না মিয়া শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সুরাইয়া ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমালোচনার জবাব দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পান্না মিয়া বলেন, “আলতাফ হোসেন চৌধুরী কখনো বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে রাজনীতি করেন না। বরং তারা নিজেরাই বিতর্কিত।” তিনি জেলা বিএনপি নেতৃত্ব কৃষ্ণ সরকার ও মোস্তাক আহমেদ পিনুকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন তুলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে কারামুক্তি প্রাপ্ত পিনুর মেয়ে হৈমন্তীর জয় কীভাবে সম্ভব হল? কারা সুযোগ সন্ধানী এবং কারা দফায় দফায় দল বদল করেছেন? আপনারাই বলছেন আমরা বিতর্কিত? আমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকব।”
তিনি আরও বলেন, “হাসিনার পতন আন্দোলনের সময় সুবিধা হলেই পারিবারিক অজুহাত দেখিয়ে যারা পটুয়াখালী ছেড়ে ভারত ও কানাডায় চলে গিয়েছিলেন, তাদের পরিচয় পটুয়াখালীবাসী ভালোভাবেই জানেন।” পান্না মিয়া অভিযোগ করেন যে, আলতাফ চৌধুরী কখনো দলের কাউকে অবমূল্যায়ন করেননি।
বিএলপি’র আলতাফ চৌধুরী গ্রুপের সংবাদ সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়কারী পান্না মিয়া জানান, জেলা বিএনপি’র সভাপতি কৃষ্ণ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টুটন ও মোস্তাক আহমেদ পিনুর সাথে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় গত ৪ নভেম্বর কৃষ্ণ সরকারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যাওয়ার সময় আলতাফ চৌধুরীকে অপমান করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “তারা আলতাফ চৌধুরীকে অপমান করেছিলেন এবং তাদের অভ্যন্তরীণ সভা চলছে বলে বারবার মাইকে চলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছিল।”
পান্না মিয়া ইতিহাস তুলে ধরেন যে, “মিথ্যাচার, অসত্য, বাইটন, বিভ্রান্তিমূলক এবং দলীয় সিদ্ধান্ত পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার কারণে ২০০৪ সালে স্নেহাংশু সরকার কৃষ্ণ সরকারকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেছিলেন।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সহকারী প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট তৌফিক আলী খান কবির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এহ্নিম মোজাম্মেল হোসেন তপন, বর্তমান জেলা বার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মহসীন, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী অধ্যাপিকা লায়লা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদিকা জেসমিন আক্তার ও জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রশীদসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।