
দক্ষিণ থাইল্যান্ডে চলমান ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বুধবার ৩৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন এক বরিষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, যার মধ্যে রয়েছে ভূমিধস ও বৈদ্যুতিক শকের কারণে মৃত্যু।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের পর দিন বন্যার প্রকোপ জোরদার হওয়ায় মৃত্যুর হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি মুখপাত্র সিরিপং অ্যাংকাসাকুলকিয়াট বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন এবং জানান যে মৃতদের মধ্যে অনেকেই ভূমিধস ও বৈদ্যুতিক শকের শিকার হয়েছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বন্যার পানি বহু এলাকায় স্বাভাবিক জীবনকে অচল করে দিয়েছে, হাসপাতালগুলোতে শত শত রোগী আটকা পড়েছেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের বিভিন্ন প্রদেশে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে, যা অনেক এলাকায় প্রায় অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছে এবং নৌবাহিনীকে মোতায়েন করেছে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে। আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করেছে যে আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বন্যার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
“আমরা সব সম্পদ নিয়োজিত করেছি উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণের জন্য। পরিস্থিতি এখনও অস্থির এবং আমরা আরও ক্ষতির আশঙ্কা করছি,” বলেন এক সিনিয়র আপদ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা। সরকার জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে এবং আশ্রয়স্থল স্থাপন করেছে বন্যার্তদের জন্য।
বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন, যা এই অঞ্চলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে অনেক এলাকায় বন্যার পানি এতটাই উঁচু যে গাড়িচলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।