
পটুয়াখালীর মনিপুরে নদীর তীরের একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে স্বামী সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৬৪)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে ডালভলুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারা পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আকলিমা ছিলেন সিরাজউদ্দিনের তৃতীয় স্ত্রী। শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিরাজউদ্দিনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেয়ারা পুর গ্রাম সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর খেয়া (নৌকা) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নদীর তীরে একটি ঝুপড়ি ঘরে আকলিমাকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। প্রতিদিনের ন্যায় ফজরের নামাজে না যাওয়ায় স্থানীয়রা ভোর ৬টার দিকে তার ঘরে খোঁজ নিতে যান। ঘরের সামনে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেতরে ঢুকে চৌকিতে আকলিমা এবং মেঝেতে সিরাজউদ্দিনের নিথর দেহ দেখতে পান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, সিরাজউদ্দিনের গলার নিচে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ এবং আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আকলিমার শরীরেও রক্তাক্ত চিহ্ন এবং আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। ঘরের মেঝেতে রক্তের ছোপও উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, সোমবার গভীর রাতে তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মনিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডি টিম ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।” পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলে ধারণা করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।