1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
অটো শিল্পের চাপে ইইউ ২০৩৫ জ্বালানি ইঞ্জিন গাড়ি নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ন্যাটো-সদৃশ নিরাপত্তা গ্যারান্টি প্রস্তাব করেছে, কিন্তু ভূখণ্ড ছাড় নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি ফিলিপাইন চীনের মেরিটাইম ফোর্সের ‘বিপজ্জনক’ ও ‘অমানবিক’ কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছে সুদান তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটির মানবিক সংকট তালিকার শীর্ষে হংকংয়ের হাইকোর্ট জিমি লাইকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্ভাবনা ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে ইউরোপ-নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত ইউরোপ ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষতিপূরণের জন্য আন্তর্জাতিক ক্লেইমস কমিশন চালু করছে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী চীনের আকস্মিক আক্রমণে দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কুয়াকাটা বাস টার্মিনালে গাঁজা সেবনের দায়ে যুবকের ১৫ দিনের কারাদণ্ড  চায়না ভ্যাঙ্কে ডিফল্ট এড়াতে বন্ড পেমেন্টের জন্য নতুন প্রচেষ্টা, বন্ডহোল্ডারদের সমর্থন চাইছে

 রিও দে জেনেইরোতে ব্রাজিলের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী মাদকবিরোধী অভিযান, নিহত ১২১ জন

ঢাকা বুলেটিন ডিজিটাল ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

 

ব্রাজিলের রিও দে জেনেইরোতে মাদকচক্র ‘কমান্ডো ভারমেলো’-এর বিরুদ্ধে চালানো পুলিশের অভিযানে অন্তত ১২১ জন নিহত হয়েছে—যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী পুলিশি অভিযান। নিহতদের মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

রিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই মাসেরও বেশি পরিকল্পনার পর এই অভিযান চালানো হয়। পুলিশের লক্ষ্য ছিল মাদকচক্রের সদস্যদের শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে পাহাড়ি জঙ্গলে ঠেলে দেওয়া, যেখানে বিশেষ বাহিনী আগে থেকেই অবস্থান করছিল।

রিও রাজ্যের নিরাপত্তা প্রধান ভিক্টর সান্তোস সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযানটি অত্যন্ত মারাত্মক হবে, সেটা আমরা আগেই জানতাম—তবে এ রকম মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যাশিত ছিল না।” তিনি জানান, পুলিশের কোনো অনিয়ম বা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ প্রমাণিত হলে তদন্ত করা হবে।

স্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবীরা বলছেন, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে—কমপক্ষে ১৩২ জন পর্যন্ত।

অভিযানের পর পেনহা এলাকার বাসিন্দারা চারপাশের বনাঞ্চল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে প্রধান সড়কে সারিবদ্ধভাবে রাখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তাজুড়ে প্রায় ৭০টির মতো মরদেহ দেখা যায়—অনেকগুলো কাপড় বা ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল।

এক শোকাহত মা, তাউয়া ব্রিটো, সাংবাদিকদের বলেন, “আমি শুধু আমার ছেলেকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চাই—তার দাফনটাই করতে চাই।” চারদিকে কান্না, ক্ষোভ আর হতবাক প্রতিবেশীদের ভিড়।

দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে রাজ্যপালের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে নামেন। তারা লাল রঙে রঞ্জিত ব্রাজিলের পতাকা নাড়িয়ে পুলিশের ‘অতি-হিংস্রতা’র প্রতিবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, তবে সেটি যেন “পুলিশ বা নিরীহ পরিবারের জীবনের বিনিময়ে না হয়।”

“আমরা মেনে নিতে পারি না যে সংগঠিত অপরাধ শহরগুলোকে ধ্বংস করবে, মানুষকে আতঙ্কিত করবে, আর মাদক ও সহিংসতা ছড়াবে,” তিনি এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন।

ব্রাজিলের ইতিহাসে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী পুলিশি অভিযান। এর আগে ১৯৯২ সালে সাও পাওলোর কারান্দিরু কারাগারে দাঙ্গা দমনে পুলিশের অভিযানে ১১১ বন্দি নিহত হয়েছিল। রিও শহরে এর আগের সবচেয়ে বড় মাদকবিরোধী অভিযানে ২০২১ সালে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

জাতিসংঘ এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন—যেগুলোর মধ্যে কিছু COP30-সম্পর্কিত—এখন নিরাপত্তা উদ্বেগের মুখে পড়েছে।

ব্রাজিলের এই অভিযান সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থানকে যেমন তুলে ধরেছে, তেমনি মানবাধিকার ও পুলিশি নীতির সীমারেখা নিয়েও নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট