প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণায় দাবি করা হয়, তারা চোখের পরীক্ষা থেকে শুরু করে অ*পারেশন পর্যন্ত সব ধরনের চক্ষু চিকিৎসা দিতে সক্ষম। সরেজমিনে গিয়ে রাকিব মিয়া দাবি করেন, তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ‘এশিয়া ডিজিটাল চক্ষু হাসপাতালে’ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত এবং সেই হাসপাতালের অধীনে বাউফলে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছেন। তবে তিনি তার চাকরির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে এমন প্রতারণা চললেও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এই কেন্দ্রটি সক্রিয় রয়েছে। এই বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রউফ বিস্ময়করভাবে তার দায় এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় আমার করণীয় কী—সে ধরনের কোনো নির্দেশনা আমার কাছে নেই। আপনি ইউএনও বা এসিল্যান্ডকে জানান।” তার এই মন্তব্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নজর এড়ানোর ইঙ্গিত দেয়।
চক্ষু চিকিৎসার নামে এই ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রম গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। তবে পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. খালেদুর রহমান এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’কে জানিয়েছেন, এমবিবিএস চিকিৎসক ছাড়া চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র চালানোর কোনো সুযোগ নেই এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন অপরিহার্য যাতে সাধারণ মানুষ এই ধরনের অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মুক্তি পায়।