শক্তিশালী মার্কিন ডলারের কারণে বিশ্ববাজারে সোনার দাম সামান্য কমেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছেন। তাঁর আসন্ন বক্তব্য দেশটির ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি এবং একই সঙ্গে সোনার দামের গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা সাধারণত মার্কিন ডলারে কেনাবেচা হয়। তাই ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেলে অন্য মুদ্রার ক্রেতাদের জন্য সোনা কেনা তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল হয়ে যায়, যা সোনার চাহিদা ও দাম কমিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুদ্রানীতির কঠোর হওয়ার সম্ভাবনা কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে দেওয়া ভাষণটি বাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাষণে তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সম্ভাব্য সুদের হার পরিবর্তনের বিষয়ে ইঙ্গিত দিতে পারেন। যদি পাওয়েল সুদের হার বৃদ্ধি বা কঠোর মুদ্রানীতির ইঙ্গিত দেন, তাহলে ডলার আরও শক্তিশালী হবে এবং সোনার দাম আরও কমতে পারে। এর কারণ হলো, সুদের হার বাড়লে বন্ড ও অন্যান্য ডলার-ভিত্তিক সম্পদগুলো আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, কারণ এগুলো থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। অন্যদিকে, সোনা কোনো সুদ বা ডিভিডেন্ড দেয় না, ফলে এর আকর্ষণ কমে যায়।
এর আগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শক্তিশালী মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্যের কারণে ফেডারেল রিজার্ভের সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কিছুটা কমেছে। এ পরিস্থিতিতে পাওয়েলের মন্তব্য বাজারের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই অস্থিরতার কারণে সোনার বাজারে লেনদেনকারীরা এখন সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন এবং পাওয়েলের ভাষণের জন্য অপেক্ষা করছেন।