ইউক্রেন শান্তি আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই তেলের দাম একটু বাড়তে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার একটি বিখ্যাত BP রিফাইনারি সাপ্লাই সমস্যা থেকে বাজারে প্রভাব পড়েছে, যা তেলের চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামালের মজুদেও মিশ্র পরিবর্তন দেখা গেছে।
বুধবার আন্তর্জাতিক তেল বাজারে দাম সামান্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে, যা ইউক্রেন শান্তি আলোচনার বিষয়ে অনিশ্চিত অবস্থার কারণে গড়ে উঠেছে। শান্তি আলোচনা এখন দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় রুশ তেলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে এবং রুশ তেল ক্রেতাদের উপর আরও বিধিনিষেধ আসার আশঙ্কাও রয়েছে।
ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেল $65.93 পর্যন্ত উঠে এসেছে, যা 0.21% বৃদ্ধি নির্দেশ করে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুডের দামও সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে $62.72 প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধি মূলত ইউক্রেন সংকট নিষ্পত্তি নিয়ে প্রত্যাশার স্তব্ধতার মধ্যেই বাজারে সাপ্লাই চাহিদার দিক থেকে তৈরি হওয়া উদ্বেগের ফল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের BP কোম্পানির ইন্ডিয়ানা রাজ্যের হুইটিং রিফাইনারিতে বন্যার কারণে উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা মার্কিন বাজারে তেলের সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করেছে। এই রিফাইনারিটি মধ্যপশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহকারী হওয়ায় এর প্রভাব ব্যাপক।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, “শান্তি আলোচনা দীর্ঘমেয়াদী হলে তেলের বাজারে অনিশ্চয়তা থাকবে এবং তা দাম ওঠানামায় প্রভাব ফেলবে।” এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় রাশিয়া, ইউক্রেন ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে শান্তি আলোচনা তত্ত্বাবধানের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও রাশিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয়।
বর্তমানে বিশ্ব বাজারে রুশ তেলের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সরবরাহের ওপর চাপ অব্যাহত থাকায় তেলের দামের ওঠানামা ঘটে চলেছে।