
ভোলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৭৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক কাঠামো চূড়ান্ত করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত আহ্বায়ক কমিটিতে এডভোকেট মোঃ জিয়াউর রহমানকে আহ্বায়ক ও মেহেদী হাসান শরীফে সদস্যসচিব করে এ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কমিটি অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্যসচিব আক্তার হোসেন।
তাদের যৌথ স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভোলা জেলা কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ.বি.এম. নুরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক বাহারুল ইসলাম
সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মাকসুদুর রহমান,যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসির আরাফাত,মীর মোশারেফ হোসেন অমি।সাংগঠনিক সম্পাদক,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক,জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক,দপ্তর সম্পাদক,প্রচার সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও আরো ৪২জন সদস্য করে মোট ৭৪সদস্যসের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান ঢাকার বনানী মডেল স্কুল থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচ এস সি, সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকে বিএসএস এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স পাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ল কলেজ থেকে এলএলবি এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম পাশ করেন। ২০২৩ সন থেকে তিনি ভারতের বিখ্যাত নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটিতে শিশু বিষয়ে পিএইচডি গবেষনায় অধ্যয়নরত আছেন।তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন নিয়মিত আইনজীবী হলেও ভোলা জেলার নিরিহ ভুক্তভোগী মানুষকে আইনী সেবা দেওয়ার মানষে ভোলা জেলায় নিয়মিত প্রাকটিস করছেন।তিনি ১ দশক ধরে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে ভোলার অনেক ভুক্তভোগী মানুষকে মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।
নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক পদ পাওয়া জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ভোলা জেলাকে নাগরিক উদ্যোগ ও সামাজিক উন্নয়নকে আরো শক্তিশালী করতে এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তরুণদের যুক্ত করে একটি সক্রিয় নাগরিক প্ল্যাটফর্ম গড়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘কমিটি দ্রুত সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে উপকমিটি গঠনের কাজ শুরু করবে। একই সঙ্গে এলাকার সাধারণ মানুষের সমস্যা, নাগরিক ভোগান্তি ও সামাজিক ইস্যুগুলোকে সামনে রেখে এনসিপিকে আরো জনমুখী করা হবে।’