
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ জায়গা-জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ভিডিও ধারণ করার সময় সাংবাদিক পরাণ আহসানের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের মামলায় অন্যতম আসামি এমরান হোসেন (২২) কে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার সাচড়া ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৭ সেপ্টেম্বর। সংবাদ সংগ্রহ শেষে সাংবাদিক পরাণ আহসান ভোলা সদরে ফেরার পথে বোরহানউদ্দিনের সাচড়া ইউনিয়নের দরুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে সেখানে জমিজমা সংক্রান্ত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে দেখতে পান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যখন তিনি ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন, তখন সাচড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ হাওলাদারের নির্দেশে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামাল হাওলাদার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামাল হাওলাদার, মোসা. শিখা, ছাত্রলীগ কর্মী রবিন, দলু হাওলাদার ও এমরান সহ আরো কয়েকজন দা ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
সাংবাদিক আহসান নিজেকে পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে এলোপাথাড়ি পেটানো হয় এবং একপর্যায়ে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা যখন তাকে উদ্ধার করে, তখন হামলাকারীরা পুনরায় তার ওপর হামলা চালিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার দিন রাতেই সাংবাদিক আহসান বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আহসান বলেন, “আমি নিজে বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা করি। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্যতম মূলহোতা এমরানকে আটক করতে সক্ষম হয়।”
গ্রেফতার করা আসামি এমরান হোসেনকে ভোলার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, “মামলাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয় মহলে মনে করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আহত সাংবাদিক পরাণ আহসান এখন সুস্থ্য আছেন বলে জানা গেছে।