
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বানিয়াকাঠী গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির পর কয়েকজন যুবক লোহার রড ও দা দিয়ে সরোয়ার হাওলাদার (৪২) কে গুরুতরভাবে আহত করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের বানিয়াকাঠী এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সরোয়ার হাওলাদারের কয়েকজন যুবকের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের যুবকরা লোহার রড ও দা দিয়ে তার শরীরে উপর্যুপরি আঘাত করে। আহত অবস্থায় সরোয়ার তার ফুফাতো বোন হোসনেয়ারা বেগমের বাসায় আশ্রয় নেন। স্থানীয় লোকজন তাকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা পটুয়াখালী সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জীব কুমার সাহা জানান, “হামলা ও হত্যার কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে নিহত সরোয়ার একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।”
নিহত সরোয়ার হাওলাদার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের পুকুরজনা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গনি হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরোয়ার এর আগে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরিবারের সূত্রে আরও জানা যায়, মৃত্যুর আগে সরোয়ার কয়েকজন যুবকের নাম বলে গেছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী আসলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” নিহতের মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।