
বরিশাল বিভাগের স্বীকৃতি প্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে ২ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে বরিশাল বিভাগীয় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় কর্মসূচি, অংশগ্রহণ ও পরবর্তী কৌশল আলোচনা করা হয়।
প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান বাবুল এবং সঞ্চালনা করেন হাজী আক্কেল আলী কলেজের প্রভাষক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন। সভার উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও কথাসাহিত্যিক মাসুদ আলম বাবুল।
প্রধান অতিথি ছিলেন সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল মোঃ সেলিম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ নাজমুছ শাহাদাত আজাদী, সমন্বয়ক প্রভাষক মোঃ গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মনিবুল হক, সমন্বয়ক সহঃ প্রাঃ মোঃ এনামুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, সমন্বয়ক সহঃ শিক্ষক মোঃ জাহিদ হোসেন ও সমন্বয়ক অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ। স্থানীয় বিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষকরা ও বিশিষ্ট অতিথিরাও বক্তব্য দেন।
সভায় বক্তারা জানান, সারাদেশে স্বীকৃতি প্রাপ্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার (প্রায় ৩,৫০০) নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বক্তারা বলেন, দীর্ঘকাল ধরে এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হলেও সরকার দাবিটি মেনে নিচ্ছে না, তাই ২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা-তে এককভাবে অবস্থান ও প্রতিরোধ কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সাথে সভায় আংশিক সহিংসতা বা বিদ্যালয় বন্ধের মতো কড়া কর্মসূচি বাস্তবায়নের কঠোর পরিকল্পনা থাকলে তা কবে ও কীভাবে হবে—এসব নির্ধারণে জাতীয় সম্মেলন ও জেলা পর্যায়ের সমন্বয় কমিটি দ্বারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বক্তারা দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনীয় ধাপগুলো তৎক্ষণাত নেওয়া হবে বলেও জানান। বক্তব্যের সময় অনেকে তাদের দুর্দশা ও মানবেতর জীবনের কথা তুলে ধরে আবেগপ্রবণ হন।
স্থানীয় বক্তারা আবেদন করেন—সরকার দ্রুত নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি করে স্থায়ী কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবস্থা নিক। সভায় অংশগ্রহণকারীরা সকল শিক্ষককে ২ নভেম্বরের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহবান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—প্রয়োজনে ২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ ঢাকায় প্রশস্ত আন্দোলন করার হুমকি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে; তবে সভায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার যে কথাগুলো বলা হয়েছে, সেগুলো কর্তৃপক্ষের পরবর্তী সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা মেনে বাস্তবায়িত হবে।