যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রম বন্ধ (শাটডাউন) নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—দুই দলকেই সমানভাবে দায়ী মনে করছেন সাধারণ নাগরিকরা। রয়টার্স/ইপসসের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, জনগণ উভয় পক্ষের রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে দোষারোপ করছে, একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
রয়টার্স/ইপসস পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি শাটডাউনের কারণে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ফেডারেল কর্মচারী বেতনহীন অবস্থায় আছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দোষারোপ এবং আপোষহীন অবস্থানের কারণেই এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশ রিপাবলিকানদের, ২৯ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের, এবং প্রায় ২৫ শতাংশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দোষারোপ করেছেন। বাকিরা বলেছেন, উভয় দল ও প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই এ স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে ভোটারদের আস্থা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে, বিশেষত এমন এক সময়ে যখন সরকারি সেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রশাসনিক অচলাবস্থা অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে বাজারের স্থিতিশীলতা ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সরকারি কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ থাকার ফলে বিভিন্ন দপ্তরের সেবা স্থগিত হয়েছে, এবং বেতন না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী। এর ফলে সামাজিক মাধ্যমে ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সরকারের প্রতি ক্ষোভ ও হতাশার প্রকাশ ঘটছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই জরিপটি পরিচালিত হয়েছিল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা গ্রহণ করা হয়েছে।