ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়ায় পাওনা ৮ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে সন্ত্রাসী আনোয়ারের নেতৃত্বে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে, হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়ায় মাতাব্বর ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী মোঃ হাসানের দোকানে আনোয়ারের নেতৃত্বে জুয়েল, ইব্রাহিম, আরিফ, জুলহাস, রাব্বি, স্বপনসহ একদল সন্ত্রাসী আকস্মিক হামলা চালায়। তারা দোকানের মধ্যে লোহার পাইপ, চেইন ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে মোঃ হাসানকে গুরুতর জখম করেন। দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি হাসানের স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে বেধরক মারধর করে তাঁর গলায় থাকা সোনার চেইন ও হাসানের কাঁধে থাকা ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা ফারজানার কাপড় টেনে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আহত হাসানকে ও তার স্ত্রীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হাসান জানিয়েছেন, প্রায় ১৩ দিন আগে তার দোকানের বাইরে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরা চুরি করে আনোয়ার গ্যাং, যা নিয়ে মামলাও করেছেন। প্রায় ১৬ মাস আগে হাসান আনোয়ারের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুসারে আনোয়ারের কাছে ৮ লাখ টাকা পাওনা ছিল। দীর্ঘ এক বছর ধরে তিনি পাওনা টাকা চাইলেও আনোয়ার ফিরিয়ে দিচ্ছেন না ও সালিশের দাবি উপেক্ষা করছেন।
ফারজানা আক্তার বলছেন, “আমাকে ও আমার স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, ভাগ্যক্রমে স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে আমরা বেঁচে গিয়েছি।” এলাকাবাসী আনোয়ার ও তার অনুসারীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অপর দিকে, অভিযুক্ত আনোয়ার ফোনে বলেন, “আমি কোনও দোষ করিনি। হাসান যেহেতু মামলা করেছে, আমি তার বিরুদ্ধেও মানববন্ধন ও মামলা করব।” ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি এবং তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনব।”