পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মায়ের সাথে অভিমান করে সুমাইয়া (১১) নামের এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিণ রনগোপালদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সুমাইয়া মানিক খানের মেয়ে এবং আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনায় অবহেলার কারণে শনিবার সন্ধ্যায় মা তাকে বকাঝকা করেন। এতে অভিমান করে সুমাইয়া নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
কিছুক্ষণ পর তার মা সাড়া না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে ডাকচিৎকার করলে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসেন। দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তারা সুমাইয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে দ্রুত নামিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে দশমিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, “পড়াশোনার জন্য মা বকাঝকা করলে সুমাইয়া অভিমান করে আত্মহত্যা করে।”
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম জানান, “খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”