পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছবি দিয়ে ‘চোর! চোর! চোর!’ শিরোনামের পোস্টার সাঁটানোকে ঘিরে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চাল চুরির অভিযোগ তুলে ছাপানো এই পোস্টার মঙ্গলবার রাতে ধানখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পোস্টারটিতে লেখা ছিল— “জেলেদের ত্রাণের চালে কালো থাবা! বিএনপি নামধারী কিছু লোক দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে কৌশলে ইউনিয়ন পরিষদের চাল লুট করছে। চোর! চোর! চোর! ভূমিদস্যু-চাঁদাবাজ ইউনিয়ন পরিষদের সুকৌশল লুণ্ঠনকারী এরা।”
পোস্টারে অভিযুক্ত হিসেবে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছোহরাব বিশ্বাস, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তপন, সাধারণ সম্পাদক দোলন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজের ছবি ব্যবহার করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে উপজেলা বিএনপি অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান চুন্নু বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্ত করছে। অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মানহানির মামলা দায়ের করা হবে।”
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব এবিএম মোশারফ হোসেনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত না হয়ে অপপ্রচারকারীদের আসল চেহারা চিনে রাখতে হবে।”
ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ তালুকদার বলেন, “দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপ এই নোংরামি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কোনো চালের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই, পরিষদের কাছে জানতে চাইলে প্রমাণ মিলবে।”
এ বিষয়ে ধানখালী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, “জেলেদের তালিকা অনুযায়ী নীতিমালা অনুসরণ করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি। এটি একটি রাজনৈতিক মহলের ষড়যন্ত্র, যা ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।”