দাঁত ও চোখের চিকিৎসক সেজে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে পটুয়াখালীর মহিপুরে হারুন অর রশীদ নামের এক ভূয়া ডাক্তারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় এই সাজা প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কলাপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসিন সাদেক। তিনি জানান, “হারুন অর রশীদ দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করে মহিপুর সদরের এশিয়া ডেন্টাল সেবা কেন্দ্রে রোগী দেখতেন। তিনি তিন থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত ভিজিট নিতেন এবং দাঁতের চিকিৎসক না হয়েও চোখের চিকিৎসা দিতেন—যা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
অভিযোগ রয়েছে, হারুনের ভাই আব্দুল হাকিম কলাপাড়ায় দাঁতের চিকিৎসক পরিচয়ে এবং মহিপুরে চক্ষু চিকিৎসক সেজেও প্রতারণা চালাচ্ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় ঘোষণার পর হারুনকে মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, “আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তার ভাইয়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই ভাইয়ের ‘চিকিৎসা’ নিতে আসা রোগীরা প্রতিদিন দীর্ঘ লাইন দিতেন। অনেকেই জানতেন না তারা কোনো মেডিকেল ডিগ্রিধারী নন।