ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং মুদ্রানীতি নিয়ে রাজনৈতিক চাপের প্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা বাড়ায় বৃহস্পতিবার মার্কিন ডলারের অবনতি ঘটে। এর ফলে ডলারের বৈশ্বিক মান কমে আসে, বিশেষ করে প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপক্ষে।
গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভের কয়েকজন কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সুদের হার কমানোর পথে হাঁটতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ধারণা বাজারে দৃঢ় হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনায় বেশি বাজি ধরছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন ডলার ইনডেক্স (DXY), যা ডলারের বৈশ্বিক মান পরিমাপ করে, লাফিয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক চাপও মুদ্রানীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু বিশ্লেষক উল্লেখ করেছেন যে আগামী নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চাপ ফেডারেল রিজার্ভের উপর ক্রমশ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সুদের হার কমানো হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিটের বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সেপ্টেম্বরে ফেড যদি ২৫ বেসিস পয়েন্টের সুদ কমায়, তবে তা মার্কিন অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে সহায়ক হবে। তবে এটি ডলারের জন্য স্বল্পমেয়াদি চাপ তৈরি করবে। এর আগে গত কয়েক মাস ধরে ডলার ছিল অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী, কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবণতা তার উল্টো দিকে।
বৈশ্বিক বাজারে ইউরো, যেন এবং পাউন্ড সহ অন্যান্য প্রধান মুদ্রাগুলো ডলারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মান বাড়িয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের বাজারগুলোতে ডলারের বিপরীতে লেনদেনে নতুন করে আস্থা ফিরে এসেছে।