বিশ্বযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিষয়গুলো নিয়ে তাইওয়ান ও চীন আগ্রাসী বিবাদে জড়িয়েছে। তাইওয়ান তাদের প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসকে গুরুত্ব দিয়ে দাবি করে যে, যুদ্ধকালীন সময়ে কমিউনিস্ট বাহিনীর অবদান অতিরিক্তভাবে উর্ধ্বমুখী ও বিকৃত করা হচ্ছে। অন্যদিকে চীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় ভূমিকা জনসম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করছে। এই ঐতিহাসিক বিরোধ দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার একটি প্রতিফলন।
৯৯ বছর বয়সী পারোন চেংফা তাইওয়ানে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে তিনি স্পষ্টভাবে স্মরণ করেন কিভাবে তিনি প্রজাতন্ত্র চীনের জন্য জাপানির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তবে কমিউনিস্ট বাহিনীর অবদান নিয়ে কথা উঠলে তিনি বিরক্ত হন, কারণ ঐ সময় কমিউনিস্ট বাহিনী প্রজাতন্ত্র সরকারের সঙ্গে অনিশ্চিত সম্পর্ক ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, প্রজাতন্ত্রের বাহিনীই কমিউনিস্টদের অস্ত্র ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তাদের শক্তিশালী করেছিল।
চীন আগামী মাসে বেইজিংয়ে বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৮০তম ওয়ৈশ্বিক দিবস উপলক্ষে একটি বড় সামরিক সমারোহের আয়োজন করতে যাচ্ছে। তাইওয়ান, যেটি এখনও প্রজাতন্ত্র চীনা নামে পরিচিত, সেই সামরিক সমারোহকে তাদের ভূখণ্ড ও ইতিহাসের বিকৃত বক্তব্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উভয় পক্ষের এই ইতিহাসের দখল যুদ্ধ সত্যিকার অর্থেই কে জিতেছিল ও সভ্যতার জন্য কে অধিক ভূমিকা রেখেছিল তা নিয়ে একটি বহুমাত্রিক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাইওয়ান যেখানে কমিউনিস্ট পার্টির কথা অস্বীকার করে তাদের নিজস্ব ঐতিহাসিক বিবরণ তুলে ধরে, চীন কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের ওপর গুরুত্ব দেয়।
Recent কর্মসূচিতে তাইওয়ান সরকার তাদের স্বাধীনতা ও ইতিহাস সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করে, এবং স্থানীয় নাগরিকদের চীনের সামরিক সমারোহে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে চীন তাদের ভেতরকার শক্তিকে রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড হিসাবে দেখাতে চাইছে।