রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক বাজারে গভীর প্রভাব ফেলেছে। আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা বৈশ্বিক বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই যুদ্ধ কীভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতি, জ্বালানি বাজার, কৃষিপণ্য এবং মুদ্রাবাজারে প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জ্বালানি রপ্তানিকারক, যুদ্ধের কারণে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ। যুদ্ধের কারণে গম এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে, যা বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে। খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইউরো এবং রুবলের মান উল্লেখযোগ্য হারে পরিবর্তিত হয়েছে। ডলারের তুলনায় রুবলের মান কমে গেছে, যা রাশিয়ার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধের কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। অনেক দেশে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে।
আলাস্কায় অনুষ্ঠিত ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক যুদ্ধবিরতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করবে। এই বৈঠকের ফলাফল বৈশ্বিক বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।