২০২৫-এর দ্বিতীয় প্রান্তে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি বছরের একই প্রান্তের তুলনায় ৪.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বলে ইকোনমিস্টদের এক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। রয়টার্সের পরিচালিত এ সমীক্ষায় ২৩ জন অর্থনীতিবিদের মতামত অনুযায়ী, রপ্তানিতে দুর্বলতা সত্ত্বেও গৃহস্থালি খরচ ও সেবা খাতের চাহিদা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রেখেছে।
অগাস্ট ৫ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে করা রয়টার্স পোলে অর্থনীতিবিদরা দ্বিতীয় প্রান্তের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাককল্পনা দেন। এর আগে প্রথম প্রান্তে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.৪ শতাংশ। প্রাককল্পনার পরিসর ছিল ৩.৯ থেকে ৪.৬ শতাংশ, যা চূড়ান্ত প্রকাশিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা রাখে।
ওসিবিসি ব্যাংকের সিনিয়র এএসইএএন অর্থনীতিবিদ লাভান্যা ভেঙ্কটেশ্বরন বলেন, “খুচরা বিক্রয়, আলোচনা বাণিজ্য, মোটরযানের বিক্রয় এবং সরকারি ব্যয়ের মতো উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি তথ্য সমূহ প্রথম প্রান্তের চেয়ে উন্নতি নির্দেশ করে। ঘরোয়া চাহিদায় সুস্থতা দ্বিতীয় প্রান্তে স্পষ্ট হয়েছে।”
তবে রপ্তানি খাতে দুর্বলতা অব্যাহত ছিল। জুন মাসে রপ্তানি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৩.৫ শতাংশ কমেছে, যা ডিসেম্বর ২০২৩-এর পর থেকে সর্বনিম্ন। মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার চীনের কাছে প্রেরণ ৯.৩ শতাংশ হ্রাস পায়। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৯ শতাংশ আমদানি শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাবও ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থনীতিকে সমর্থন দেয়ার জন্য জুলাই মাসে ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়া পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো সুদের হার কমায়। মুডি’স অ্যানালিটিক্সের অর্থনীতিবিদ ডেনিস চিওক বলেন, “বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় এ সুদ হ্রাস ছিল অগ্রবর্তী। গ্রিনব্যাকের বিপরীতে রিংগিতের আপেক্ষিক শক্তি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রার দুর্বলতার ভয় ছাড়াই হস্তক্ষেপের সুযোগ দিয়েছে।”
২০২৫ সালের জন্য আরেকটি রয়টার্স পোল অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪.২ শতাংশ, যা সরকারের নির্ধারিত ৪.৫ থেকে ৫.৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার নিচে।