1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মাধবপুরে সড়কে প্রাণ গেল ১ মোটরসাইকেল আরোহীর পবিপ্রবিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত তাইওয়ানে গুরুত্বপূর্ণ রিকল নির্বাচন: চীনের নজরে বিরোধী দলের সাংসদদের প্রতি লক্ষ্য চীনের প্রধানমন্ত্রী লি-এর বিশ্বব্যাপী এআই সহযোগিতা সংস্থার প্রস্তাব বেইজিং-এ ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়ের সতর্কতা: তীব্র বৃষ্টিপাতের পর ধস ও কাদাপ্রবাহের ঝুঁকি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে: হতাহত ও উদ্বাস্তু সংখ্যা বৃদ্ধি মাধবপুরে বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল। শ্রীমঙ্গলে সেফটিক ট্যাংকে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা-হাজি মুজিব জলঢাকায় উপাধ্যক্ষের রুম ভাংচুরের অভিযোগ। প্রশিক্ষণে দক্ষ নারী গড়ে তুলছে জেইউটিটিআই: সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ৩ মাস মেয়াদি অনাবাসিক কোর্সে ভর্তি চলছে

ইইউ-চীন সম্মেলন ২০২৫: সম্পর্কের ‘টার্নিং পয়েন্ট’-এ উরসুলা ফন ডের লায়েন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ২৫তম ইইউ-চীন সম্মেলনে ইইউ-চীন সম্পর্ককে একটি “টার্নিং পয়েন্ট” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রিমিয়ার লি কিয়াং-এর সঙ্গে এই সম্মেলনে তিনি বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা, শুল্ক নিয়ে বিরোধ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। সম্মেলনটি ইইউ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হলেও, বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতবিরোধের কারণে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।

ফন ডের লায়েন সম্মেলনের শুরুতে চীনের সঙ্গে ইইউ’র বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরেন, যা গত বছর ৩০৫.৮ বিলিয়ন ইউরো (৩৬০ বিলিয়ন ডলার) এ পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগিতা যত গভীর হয়েছে, ততই ভারসাম্যহীনতা বেড়েছে। আমরা একটি টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছেছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যক।” তিনি চীনের বাজারে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর জন্য প্রবেশাধিকার সহজ করা, ভর্তুকি কমানো এবং রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের ভূমিকার বিষয়ে “প্রকৃত সমাধান” প্রস্তাবের আহ্বান জানান।

ইইউ’র অভিযোগ, চীনের শিল্প ভর্তুকি, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে, ইউরোপীয় বাজারে প্রতিযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর জবাবে ইইউ চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, যার প্রতিক্রিয়ায় চীন ইউরোপীয় পণ্য যেমন ব্র্যান্ডি, শুয়োরের মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্যের উপর তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া, চীন সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ রেয়ার আর্থ খনিজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ইউরোপীয় উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও উত্তেজনা প্রকট। ইইউ নেতারা, বিশেষ করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা, চীনকে রাশিয়ার উপর তার প্রভাব ব্যবহার করে যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ইইউ’র দাবি, চীনের রাশিয়ার সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক মস্কোকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করছে। সম্প্রতি ইইউ দুটি চীনা ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বেইজিং তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যত জটিল ও কঠিন হয়ে উঠছে, ততই চীন ও ইইউ’র মধ্যে যোগাযোগ জোরদার, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা গভীর করা প্রয়োজন।” তিনি ইইউ’কে “সঠিক কৌশলগত সিদ্ধান্ত” নেওয়ার আহ্বান জানান, যা ইউরোপের কঠোর অবস্থানের প্রতি পরোক্ষ সমালোচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া ইইউ’কে “গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার” হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, বাণিজ্য, জলবায়ু এবং বৈশ্বিক শাসনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের স্বার্থ এক।

এই সম্মেলনটি মূলত দুই দিনের পরিকল্পিত ছিল, কিন্তু বেইজিংয়ের অনুরোধে এক দিনে সংক্ষিপ্ত করা হয়। সম্মেলনের আগে সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনা এবং বাণিজ্য নিয়ে পারস্পরিক ব্যবস্থা, যেমন চীনা চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা এবং চীনের পাল্টা ব্যবস্থা, আলোচনার পরিবেশকে জটিল করে তুলেছে। তবে, ফন ডের লায়েন সম্মেলনের আগে এক্স-এ একটি পোস্টে বলেন, “এই সম্মেলন আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার এবং ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ। আমি বিশ্বাস করি, পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতা সম্ভব।”

সম্মেলন থেকে কোনো বড় অগ্রগতির আশা কম ছিল, তবে উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের আশা করছে, যা ইইউ-চীন সহযোগিতার একটি ইতিবাচক ক্ষেত্র। এই বিবৃতিতে উভয় পক্ষ জাতিসংঘে তাদের জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দেওয়ার এবং আগামী সিওপি৩০ সম্মেলনে নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলন ইইউ-চীন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে গভীর মতপার্থক্যের কারণে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের সম্ভাবনা কম। চীন নিজেকে ইউরোপের “গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার” হিসেবে উপস্থাপন করলেও, ইইউ’র দৃষ্টিকোণ থেকে চীন একই সঙ্গে “অংশীদার, প্রতিযোগী এবং পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী”।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট