1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা সদর উপজেলার শিক্ষা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ট্রলার মাঝি হত্যার মামলায় পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির গ্রেফতার পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে প্রবেশে শিক্ষার্থীকে আটক করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা কুলাউড়ায় ভারতীয় ৩ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তাটি প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ ভিয়েতনামে Xbox উৎপাদনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ফক্সকনের রুপি ৯০ ছাড়িয়ে পতন, মার্কিন শুল্ক ও বিনিয়োগ বহিঃপ্রবাহে চাপ ফিউজলেজ প্যানেলে ত্রুটি: ৬২৮টি এয়ারবাস A৩২০ পরিদর্শনের মুখে ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ব্ল্যাকরক দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারিগুলোতে মতামত পরিবর্তন করল, এআই অর্থায়নের ঢেউয়ে ঋণ খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নাজিয়া ও নাফির মা’র শোকবার্তা: একটি অপূরণীয় ক্ষতির কাহিনী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২১ জুলাই, ২০২৫-এ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী। এই দুর্ঘটনায় তাদের দুই সন্তান, নাজিয়া তাবাসসুম নিঝুম (১৩) এবং আরিয়ান আশরাফ নাফি (৯), প্রাণ হারিয়েছে। নাজিয়া ষষ্ঠ শ্রেণি এবং নাফি দ্বিতীয় শ্রেণির (ইংলিশ ভার্সন) ছাত্র ছিল। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে, যার মধ্যে ২৫ জনই শিশু।

নাজিয়া ও নাফির মা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, শোকের মধ্যে ডুবে বলেছেন, “গতকাল রাতেও আমার ছেলেকে রক্ত দেওয়া হয়। ডাক্তাররা বলছিল জানাবে। কিন্তু জানিয়েছে ছেলে মারা গেছে…। আমার মেয়েটা একদিন আগে চলে গেলো। এর পরদিন রাতে ছেলেও চলে গেলো। এখন আমি কী নিয়ে বাঁচবো?” তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন, কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। একদিনের ব্যবধানে দুই সন্তানকে হারানোর বেদনা তাকে পাথরে পরিণত করেছে।

১৩ বছর আগে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিল নাজিয়া। চার বছর পর এসেছিল নাফি। দুই সন্তানকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা। এজন্য তাদের ভর্তি করা হয়েছিল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। নাজিয়ার নিজেরও ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার। সে সাদা অ্যাপ্রোন পরে বলতো, “ভয় নেই, আমি আছি।” কিন্তু এই দুর্ঘটনায় সেই স্বপ্ন চিরতরে মুছে গেছে।

নাজিয়া ও নাফির মা জানান, ঘটনার দিন তিনি স্কুলে তাদের নিতে গিয়েছিলেন। তিনি ওয়েটিং রুমে বসে ছিলেন এবং নাফিকে বলেছিলেন তার বোন নাজিয়াকে নিয়ে আসতে। নাফি প্রায়ই তার বোনকে রিসিভ করে নিয়ে আসতো। কিন্তু সেই মুহূর্তে বিমানটি স্কুলের ভবনে আছড়ে পড়ে, আগুন ধরে যায় এবং ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। নাজিয়ার শরীরের ৯০% এবং নাফির ৯৫% দগ্ধ হয়। সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় নাজিয়া এবং মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২:১৫-এ নাফি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান।

এই দুর্ঘটনায় আহত ১৬৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ ভারত, পাকিস্তান, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সুইজারল্যান্ড শোক প্রকাশ করেছে এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ শোকবার্তায় বলেন, “ঢাকায় এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রাণহানিতে আমরা অত্যন্ত শোকাহত।”

নাজিয়া ও নাফির পরিবার এখন শোকে বিপর্যস্ত। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন সংগঠন নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করেছে। তবে, এই শোকের মুহূর্তে আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর জন্য কো

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট