এশিয়ার শিল্প খাত আবারও বড় ধরনের চাপে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির অনিশ্চয়তার কারণে। চলতি বছরের জুন মাসে অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশে কারখানা উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সামান্য উন্নতির আভাস দিয়েছে, চীনের ভোক্তা চাহিদা দুর্বল থাকায় আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিতে ছায়া ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাব্য নতুন শুল্ক আরোপের ঝুঁকি এশিয়ার রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিগুলোর জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের শিল্প উৎপাদনের অনেকটাই পশ্চিমা বাজারে নির্ভরশীল।
চীনের শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ ভোক্তা খরচে স্থবিরতা এবং আবাসন খাতের সংকটকে দায়ী করা হচ্ছে। এদিকে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেলেও, তা এখনো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট নয়।
জুনে প্রকাশিত ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেইজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (PMI) অনুযায়ী, অধিকাংশ দেশের সূচক সংকোচনের অঞ্চলে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে শ্রমবাজার, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিশ্ববাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং শিল্পোৎপাদনের গতি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতি এখন সময়ের দাবি। বাণিজ্য জোট, রপ্তানি সহায়তা এবং বিনিয়োগ নিরাপত্তার বিষয়ে স্পষ্ট নীতির অনুপস্থিতি বাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলো যদি এই চাপ কাটিয়ে উঠতে চায়, তবে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংলাপ অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।