অতীতে কেমন ছিল বা বর্তমানে কেমন আছে তা নিয়ে সময়ক্ষেপন না করে সরাসরি কেমন হতে পারে তা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। আর আলোচনা যদি বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহলেই প্রবন্ধের স্বার্থকতা।
১. সর্বপ্রথম কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম ৮০/২০ রুলে বিভক্ত হওয়া প্রয়োজন। যেখানে ৮০% হবে প্র্যাকটিক্যাল ও প্রজেক্ট ভিত্তিক বাকি ২০% হবে রিলিভেন্ট থিওরি।
২. একটি সেমিস্টারে পাঁচটি (০৫) টেকনিক্যাল বিষয় এবং একটি (০১) হিউমিনিটিজ কোর্স থাকবে।
৩. প্রতিটি টেকনিক্যাল বিষয়ে ২০ টি এক্সপেরিমেন্ট থাকবে যা শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে শিখবে এবং বোর্ডে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিবে।
যেখানে বোডে ফাইনাল পরীক্ষা হবে-
✓ ০১ ঘন্টা থিউরি যা ২০% মার্কস বহন করবে।
✓ রিয়েল টাইম ইন্ডিভিজুয়ালি প্র্যাকটিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট যা ৫০% মার্কস বহন করবে।
✓ উক্ত বিষয়ের উপর সম্পৃক্ত একটি প্রজেক্ট থাকবে, যা ৩০% মার্কস বহন করবে যার
ওপর শিক্ষার্থী পর্ব সমাপনী ভাইবাতে অংশগ্রহণ করবে।
৪. হিউমিনিটিজ কোর্স: ইংরেজি, সোসিওলজি, অ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট ও এন্টারপ্রেনারসিপ কোর্স থাকবে, যেখানে ইংরেজির ও এন্টারপ্রেনারসিপ কোর্সের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হবে।
৫. অষ্টম সেমিস্টারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাস্টমেন্ট এর পাশাপাশি স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে দুই মাসের এমপ্লায়াবিলিটি স্কিল উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকুরি ও উদ্দ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকবে।
৬. সর্বশেষ শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববাজারে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে সেই উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ কারিকুলাম ইংরেজিতে হবে মানে মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন ইংরেজিতে হবে যাতে করে আমরা গ্লোবালি কম্পিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স তৈরি করতে পারবো।