ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে দীর্ঘ ২০ বছরের ভোগ দখলীয় জমি হতে মাটি কেটে নিয়ে যবর দখল করে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মোঃ আফিস বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। থানার অভিযোগ ও ভূক্তভোগীদের সূত্রে জানাগেছে, ওই এলাকার মৃত সুলতান আহাম্মদ মিয়ার ওয়ারিশদের থেকে ওই এলাকার মৃত কেরামত আলী চৌকিদারের ছেলে মৃত জামাল উদ্দিন চৌকিদার উত্তর দীঘলদি মৌজায় ১৪২৯নং খতিয়ান, ৫৪০৫ নং দাগে ক্রয় সুত্রে ৫৩শতাংশ জমির মালিক হন। এরপর জামাল উদ্দিন বিক্রেতাদের কাছ থেকে ওই জমির দখল বুঝে নিয়ে প্রায় ২০ বছর যাবৎ চাষাবাদ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলো। কিছু দিন পূর্বে জামাল উদ্দিন গংদের ভোগ দখলীয় জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে মৃত সুলতান আহাম্মদের আরএক ওয়ারিশ ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী রফিক, কবির, মাকছু ও জামাল গংদের। বিগত দিনে এ চক্রের লোকেরা ক্রেতা জামাল উদ্দিন গংদেরকে তাদের ভোগ দখলীয় জমি হতে সমুলে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। কোন ভাবেই জামাল উদ্দিনগংদের ভোগ দখলীয় জমি হতে উৎখাত করতে না পেরে আজ ১৪/০২/২৫ইং তারিখ সকাল ৮টার দিকে উপরোক্ত অভিযুক্তদের সহযোগীতায় একটি ভেকু জামাল উদ্দিনগংদের ভোগ দখলীয় জমিতে প্রবেশ করে। এসময় অভিযুক্তরা ভেকু দিয়ে ওই জমি হতে মাটি কেটে ট্রাক দিয়ে অন্যত্র বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় জমির ক্রেতা জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ হাসিব বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্যদের জানালেও কোন প্রকার সু-ফল পায়নি তারা। পরে সে বাধ্য হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করে। পরে পুলিশ এসে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দিলেও, পুলিশ যাবার পর অভিযুক্তরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফের মাটি কাটা শুরু করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ভূক্তভোগীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ ও সাংবাদিকরা এসে মাটি কাটা বন্ধ করে আভিযুক্তদের জমির কাগজ নিয়ে শালিশে বসতে বলে। প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন পুলিশ ও সাংবাদিকদের সাথে এ কথায় রাজি হলেও তারা চালে যাবার পর ফের অভিযুক্তরা ওই জমি থেকে মাটি কাটা শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কাটা অব্যাহত রয়েছে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ জমির ক্রেতা ভূক্তভোগী মৃত মোঃ জামাল উদ্দিনের অসহায় পরিবার।