1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলায় বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ও চিকিৎসা ক্যাম্প, সেবা পেলেন ২১৩ জন তুরস্কের তেকিরদাগে খরার কারণে জলাধার শূন্য, জরুরি পানি সীমাবদ্ধতা জারি এআই মানুষের বেশিরভাগ কাজ প্রতিস্থাপন করবে, কিন্তু তারপর কী? যুক্তরাজ্যের অফিস স্পেস প্রদানকারী আইডব্লিউজি’র বার্ষিক মুনাফা পূর্বাভাসের নিম্ন প্রান্তে চীনের জানুয়ারি-জুলাইয়ে রাজস্ব আয় ০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে পটুয়াখালীতে বর্ণিল আয়োজনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দশমিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু পবিপ্রবিতে কোটি টাকার লোন কেলেঙ্কারি, দুদকের অভিযান কসমেটিকস পণ্যের দামে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি: ভোক্তাদের ভোগান্তি, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ পবিপ্রবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলন সমাধানে কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নৃ-গোষ্ঠীর”ওয়ানগালা” উৎসব উদযাপন

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

 

মৌলভীবাজারের শ্রীমেঙ্গলে চা-বাগানের ভেতর প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর পালিত হয়েছে গারো সম্প্রদায়দের ওয়ানগালা নবান্ন উৎসব। গারো জাতিগোষ্ঠীর বিশ্বাস,‘মিশি সালজং’ বা শস্যদেবতার ওপর ভরসা রাখলে ফসলের ভালো ফলন হয়। দেবতাকে নতুন ফসলের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে তারা পালন করেন এই উৎসব। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য আগামী বছরে যেন ফসল ভালো হয়। তাদের সন্তান ও পরিবার-পরিজনরা যেন ভালো থাকে।

পাহাড়ে বসবাসকারী উপজাতি নৃ-গোষ্ঠি গারোদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির অন্যতম উৎসব হলো নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব।

রোববার (১লা নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে শুরু হয় গারো যুব সংগঠনের আয়োজনে শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা বাগান মাঠে থক্কা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওয়ানগালা উৎসবের সূচনা। গারো সম্প্রদায়ের নারীরা নাচে-গানে অতিথিদের বরণ করে নিয়ে আসেন উৎসব স্থলে।

উৎসবের প্রথম পর্বে ক্রুশচত্বরে বাণী পাঠ, থক্কা প্রদান, জনগণকে থক্কা দেয়া, পবিত্র খ্রীষ্টযাগ, দান সংগ্রহ, আলোচনা সভা ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। মূলত এ অনুষ্ঠানটি গারোদের হলেও খৃষ্ঠান ধর্মাবলম্বীরাও সেখানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানাদি পরিচালনা ও উপভোগ করেন।

গারোদের মূল ধর্ম ছিল সাংসারেক এখন খৃষ্ঠানদের সাথে মিশে গেছে। ‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ দেবদেবীর দানের দ্রব্য সামগ্রী আর ‘গালা’ অর্থ উৎসর্গ করা। দেবদেবীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও মনোবাসনার নানা নিবেদন হয় এ উৎসবে। সাধারণত বর্ষার শেষে ও শীতের আগে, নতুন ফসল তোলার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর আগে নতুন খাদ্যশস্য খাওয়া নিষেধ থাকে এ সম্প্রদায়ের জন্য। তাই অনেকেই একে নবান্ন বা ধন্যবাদের উৎসবও বলে থাকেন।

ওয়ানগালা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পার্থ হাজং, শিক্ষার্থী সালছিনা, থাং সুয়া, কিলি আশকরা, বেবিনা রং দি সহ অনেকেই বলেন দেবতার সন্তুষ্টির পাশাপাশি এই আয়োজনের উদ্দেশ্য আমাদের ভাষা-সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলা। নতুন প্রজন্মকে এ সম্পর্কে জানানো আর এই সাথে সকলের একই স্থানে একই উদ্দেশ্যে মিলিত হয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি ছাড়াও আয়োজন করা হয় তাদের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।

আলোচনা পর্বে শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার ড. জেমস শ্যামল গমেজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবাগত শ্রীমঙ্গল উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসলাম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ, ফিনলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিনস্টন ডিভিশন) হুমায়ুন কবির মজুমদার, মাজডিহি চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মো:শাহরিয়ার পারভেজ, হরিণছড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক বিকাশ সিনহা প্রমূখ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারো কিশোরীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী গান ‘ওয়ানগালা ওয়ানগালা’ গানের সাথে নৃত্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন গারো লাইন থেকে আসা কিশোরীরা একেরপর এক নৃত্য পরিবেশন করে।

ফুলছড়া চা-বাগান মাঠে “ওয়ানগালা” অনুষ্ঠানটি মিলন মেলায় পরিণত হয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ভাল ফসল লাভের আশায় পালন করা হয়। এই “ওয়ানগালা” তিনদিনব্যাপী উৎসবকে নিয়ে ছিল নানান বর্ণিল আয়োজন। এবছর তাদের আয়োজন ছিল ৭ম বারে মতো। শেষে গারো সম্প্রদায়দের বিভিন্ন সফলকর্মে জড়িত ও অতিথিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট