পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদসহ ৪২ জন দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা বিএনপি কার্যালয়ের কেয়ারটেকার মোস্তফা আকন (৩৬) বাদী হয়ে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাদী মোস্তফা আকন পটুয়াখালীর কলেজ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে গেলে আসামীরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা তাকে মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তিনি এক সপ্তাহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাদী আরও জানান, আসামীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে ভয়ে মামলা করতে বিলম্ব হয়।
আসামীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শোয়েব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সকলের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জসীম জানান, মামলা রুজু হয়েছে, তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে, পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হাসান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূঁইয়াসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। বাদী রেজাউল হক বাচ্চু, শহরের মেসার্স রশ্মি ইলেকট্রনিক্সের মালিক, এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে মামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শোয়েব বলেন, “পটুয়াখালীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে আমরা সবসময় সক্রিয় ছিলাম এবং আছি। আমাদের এসব ভালো কাজের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলা করেছে।”