1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা সদর উপজেলার শিক্ষা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ট্রলার মাঝি হত্যার মামলায় পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির গ্রেফতার পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে প্রবেশে শিক্ষার্থীকে আটক করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা কুলাউড়ায় ভারতীয় ৩ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তাটি প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ ভিয়েতনামে Xbox উৎপাদনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ফক্সকনের রুপি ৯০ ছাড়িয়ে পতন, মার্কিন শুল্ক ও বিনিয়োগ বহিঃপ্রবাহে চাপ ফিউজলেজ প্যানেলে ত্রুটি: ৬২৮টি এয়ারবাস A৩২০ পরিদর্শনের মুখে ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ব্ল্যাকরক দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারিগুলোতে মতামত পরিবর্তন করল, এআই অর্থায়নের ঢেউয়ে ঋণ খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা

জামায়াত আমিরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানও

মো: সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধ
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ, যেখানে ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্যের ছাপ নেই। এটির ব্যবস্থাপনা, কর্মপরিবেশ, এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ, যা স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত এই মেডিকেল কলেজে বর্তমানে ১,৪৫০ জন কর্মী কাজ করছেন, যার মধ্যে ২৭০ জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলেই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার ভোগ করছেন। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরের কর্মী, যেমন চিকিৎসক, নার্স, আয়া, এবং নিরাপত্তাকর্মীরা সমান সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।

হেলেন রানী দাস, যিনি গত ১৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে আয়া হিসেবে কাজ করছেন, জানান, “এখানে কোনো ধরনের বৈষম্য নেই। আমি গর্বিত যে আমি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি, যেখানে সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়।” সিকিউরিটি চিফ প্রজেশ দাসও বলেন, “এই হাসপাতালে আমরা সবাই সমান, এবং ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য নেই।”

অন্যদিকে, ডা. শফিকুর রহমান নিজেও বলেছেন, “আমার প্রতিষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষকে সমানভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আমরা এখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে থাকি, এবং কোনো ধরনের বৈষম্য বরদাশত করা হয় না।”

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করে যে, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠান সফলভাবে পরিচালিত হতে পারে। এ প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট