অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের আন্দোলনের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
ড. ইউনূস বাংলাদেশ টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। দেশের বর্তমান অবস্থার ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশের সব প্রতিষ্ঠান ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের হাতে ধ্বংস হয়েছে।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিওনের বিপুল সম্পদ অর্জনের উদাহরণ টেনে তিনি বর্তমান সরকারের দুর্নীতির গভীরতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচার নিজেদের ও পরিবারের স্বার্থ হাসিলের পথ তৈরি করেছে।” ড. ইউনূস অর্থনৈতিক খাত ও শেয়ারবাজারে চলমান লুটপাটের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন এবং একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূস আরও বলেন, “জনগণের সমর্থন ও প্রত্যাশা পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রহীনতা এবং দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ রেখে গেছে, কিন্তু আমরা প্রস্তুত।”
তিনি জনগণকে ধৈর্য ধরতে এবং নতুন বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অবৈধ দাবির চাপ, হুমকি, কিংবা আদালতে হামলার প্রবণতা নতুন বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে।”
ড. ইউনূসের এ ভাষণ নতুন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ও সমর্থন জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।