দেশব্যাপী শিক্ষার্থী আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আওয়ামী লীগ ধৈর্য্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে।”
গত কয়েকদিন ধরে চলা শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলন আজ হিংসাত্মক রূপ নেয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দাবি করেছেন, এই সহিংসতার পেছনে বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য বিরোধী দলের হাত রয়েছে।
মন্ত্রী নানক বলেন, “যারা সহিংসতা করেছে, তারা শিক্ষার্থী নয়। তারা বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও জঙ্গি গোষ্ঠীর ক্যাডার বাহিনী।” তিনি অভিযোগ করেন, এই গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার সিএমএম আদালতে হামলা চালিয়েছে।
সরকার পক্ষ থেকে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে তাদের সন্তানদের ঘরে রাখতে এবং যারা রাস্তায় আছে তাদের ফিরিয়ে আনতে। পাশাপাশি, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব বলেছেন, তারা শান্তি চান, সংঘাত নয়।
তবে, বিরোধী দলগুলো এই অভিযোগ খারিজ করে বলেছে, সরকার শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি এড়াতে এসব অভিযোগ আনছে। তারা দাবি করেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু সরকারি দমন নীতির কারণে পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই সংকট নিরসনে দ্রুত আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে।