1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভোলায় দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন ভোলায় খামারিদের বাজার সংযোগ বাড়াতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে জলঢাকা উপজেলা ছাত্রদল ও জলঢাকা পৌর ছাত্রদল এবং কলেজ শাখার স্মারকলিপি প্রদান। নীলফামারীতে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর ভোলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬টি হাতবোমা ও ৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ আটক -১ চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অর্থনীতি ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত এমপিও নামক সোনার হরিন কি আদৌ মিলবে? ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ

সিলেটের বন্যা: হাওরের সড়ক নির্মাণের প্রভাব নিয়ে উঠল প্রশ্ন

ঢাকা বুলেটিন ডিজিটাল ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট অঞ্চলে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যার কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে হাওর এলাকায় নির্মিত মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের নাম। বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই সড়কটি হাওরের স্বাভাবিক জলপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে বন্যার তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

 

২০১৮ সালে উদ্বোধন করা এই সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের একটি মেগা প্রকল্প। যদিও এটি হাওর অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্মিত হয়েছিল, কিন্তু এর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

 

পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. মো. খালেকুজ্জামান বলেন, “হাওরের উপর সড়ক নির্মাণের ফলে পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যা সিলেট অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।” 

 

অন্যদিকে, পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত মনে করেন, সড়কটি এখনও বন্যার প্রধান কারণ না হলেও ভবিষ্যতে এর প্রভাব আরও গুরুতর হতে পারে। তিনি যোগ করেন, “সড়কটির নির্মাণে পরিবেশগত সমীক্ষা যথাযথভাবে করা হয়নি, যা উদ্বেগের কারণ।”

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়ক নির্মাণের পর থেকে হাওরের পানি প্রবাহের ধরণ পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এর কারণে হাওরের পানি সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হতে না পেরে সিলেট অঞ্চলে জমে যাচ্ছে, যা বন্যার তীব্রতা বাড়াচ্ছে।

 

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধুমাত্র এই সড়কটিই বন্যার একমাত্র কারণ নয়। ভারী বর্ষণ, নদীর নাব্যতা সংকট, হাওরের ভরাট এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজও এর জন্য দায়ী। বিশেষ করে ভারতের মেঘালয় ও আসাম অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট অঞ্চলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে যথাযথ পরিবেশগত সমীক্ষা, নদী খনন ও পুনর্বাসন, উচ্চসেতু নির্মাণ এবং নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ।

 

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সামগ্রিকভাবে পরিবেশগত দিকগুলো বিবেচনায় রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে ভবিষ্যতে এমন বন্যার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট