ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে গেছে। তবে রেখে গেছে বিপুল ক্ষত চিহ্ন। ঝড়ের তাণ্ডবে সুন্দরবনের বনের হরিণ, বানর, বাঘসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছে বনবিভাগ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে একটু পশ্চিম দিকে একটি মৃত হরিণের মরা দেহ ভেসতে দেখেন স্থানীয় ঝালমুড়ি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম।
এ্যানিমল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্য কেএম বাচ্চু বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা স্থানে আসি এবং একটি পুরুষ চিত্রা হরিণে মৃত দেহ কুয়াকাটা সৈকত থেকে উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে জলোচ্ছ্বাসে মারা গেছে হরিণটি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন এলাকা থেকে এটি ভেসে আসছে। আমার জানামতে এখন পর্যন্ত ৪০টি হরিণের মৃত দেহ পাওয়া গেছে।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আমাদের ধারনা ঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানির অস্বাভাবিক চাপ ছিল যার ফলে হরিণটির মৃত হয়েছে। এখন এটিকে এনিমাল লাভার্স অফ কুয়াকাটা এবং বন বিভাগের সদস্যরা মাটি চাপা দিবে।