যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের নীতিমালাকে জাতীয় পর্যায়ে বন্ধ করার বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা সাবেক ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ছয়জন রক্ষণশীল বিচারকের পক্ষে ও তিনজন উদারপন্থী বিচারকের বিপক্ষে ৬-৩ ভোটে এই রায় ঘোষিত হয়, যা বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
রায়ে বলা হয়েছে, ফেডারেল বিচারকরা আর জাতীয় পর্যায়ে প্রেসিডেন্টের নীতির ওপর অবরোধ জারি করতে পারবেন না, যদি না বিশেষ পরিস্থিতি থাকে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্টরা তাদের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নেওয়া নীতিমালা নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।
এই রায় এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং তার আগের প্রশাসনের বেশ কিছু বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ, যেমন অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা, জলবায়ু নীতি এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত আদেশগুলি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত “একজন শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট” ধারণাকে আরও জোরদার করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স পদ্ধতির জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প Truth Social-এ এই রায়কে “ঐতিহাসিক বিজয়” বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, “আমেরিকান জনগণের স্বার্থেই প্রেসিডেন্টকে তার নীতি বাস্তবায়নের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা উচিত।”
ডেমোক্র্যাট নেতারা এই রায়কে “গণতন্ত্রের জন্য হুমকি” এবং “ক্ষমতার অপব্যবহারের দ্বার উন্মুক্ত করার চেষ্টা” বলে উল্লেখ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন রাজনৈতিক কাঠামোর এক নতুন মোড় নির্দেশ করছে, যেখানে নির্বাহী শাখার ক্ষমতা বাড়লেও, আইনি জবাবদিহিতা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন থেকে যায়: এই পথ কি স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া?