থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। ক্যাম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে তার সরকারের অবস্থানের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর এটি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জনবিক্ষোভ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিকভাবে তিনি থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী শিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রতিনিধি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার কন্যা।
সম্প্রতি ক্যাম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি সীমান্তবর্তী এলাকা ঘিরে থাই সরকারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা দাবি করছে, প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এরই মধ্যে সংসদে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে আলোচনা চলছে, যা ক্ষমতাসীন জোটের ভেতরকার দুর্বলতাও প্রকাশ করেছে।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক তরুণ বলেন, “আমরা আমাদের মাটি চাই, আমাদের নেতৃত্বে একজন সাহসী প্রধানমন্ত্রী চাই—যিনি জাতীয় স্বার্থে আপস করবেন না।”
একজন প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “এই বিক্ষোভ শুধু সীমান্ত ইস্যু না, এটা পেতংতার্ন সরকারের দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।”
থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ইতিহাস বিক্ষোভ, অভ্যুত্থান এবং সরকার পতনের মাধ্যমে চিহ্নিত। পেতংতার্ন সরকারের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ শুধু সীমান্ত বিরোধ নয়, বরং জনআস্থা ও পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখাও।