1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এ স্বর্ণপদক অর্জনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভোলার চর কুকরী মুকরীতে শুটকি উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত জুড়ী উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সভাপতি রেজা, সম্পাদক মতিউর অস্বাভাবিকভাবে শান্ত ক্রেডিট বাজারে উদ্বেগের কিছু ক্ষেত্র চীনের ইস্পাত রপ্তানি বৃদ্ধির মুখে জাপানের ইস্পাত শিল্প শুল্ক ফাঁকি রোধে সংস্কার দাবি করছে  গুগল অস্ট্রেলিয়ার টেলিকম কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা-বিরোধী চুক্তির জন্য ৩৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানায় সম্মত চীনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ঠাণ্ডা হচ্ছে: প্রবৃদ্ধি মন্দা, বাজারে চ্যালেঞ্জ ভারতের রুশ ক্রুড তেল ক্রয় বন্ধ করতে হবে: মার্কিন উপদেষ্টা নাভারো  ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক ও জ্যাকসন হোল সম্মেলনের আগে মার্কিন ডলার স্থিতিশীল

ভোলায় নৌপথে কুলিং ট্যাঙ্কার: দুধ পরিবহনে নতুন দিগন্ত

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

দ্বীপজেলা ভোলায় দুগ্ধ শিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো নৌযানে কুলিং ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে দুর্গম চরাঞ্চল থেকে দুধ সংগ্রহ শুরু হয়েছে, যা এ অঞ্চলের খামারিদের দীর্ঘদিনের লোকসান ও হতাশার বৃত্ত ভাঙার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। খামারিরা এখন খুশি, কারণ দুগ্ধ পরিবহন এখন সহজ ও নিরাপদ।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কৌশলগত সহযোগিতায় ‘রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি)’র আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) এই যুগান্তকারী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।

ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের খামারিদের জন্য উৎপাদিত দুধ বাজারজাতকরণ একটি বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। দীর্ঘ নদীপথ, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং সময়সাপেক্ষ পরিবহন ব্যবস্থার কারণে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে, দুধ নষ্ট হয়ে যাওয়া ছিল নিয়মিত সমস্যা। মাঝের চরের দুধ বিক্রেতা মো. নিজাম বলেন, “আগে দুধ শহরে আনতে দিনের অর্ধেক সময় চলে যেত। গ্রীষ্মে অনেক দুধ পথেই ফেটে যেত বা ছড়া হতো, লোকসান ছাড়া উপায় ছিল না।” একই এলাকার খামারি মো. শরিফ যোগ করেন, “ন্যায্য দাম তো দূরের কথা, দুধ ঠিকঠাক বিক্রি করতে পারলেই বাঁচতাম। এখন কুলিং ট্যাঙ্কারের কারণে আমরা চিন্তামুক্ত। দুধ পরিবহন নিয়ে আর কোনো ভাবনা নেই।”

কুলিং ট্যাঙ্কার সম্বলিত নৌযান এই সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্টেইনলেস স্টিল ও শোলার দ্বারা বিশেষভাবে তৈরি এই ট্যাঙ্কার একসঙ্গে ৭০০ লিটার দুধ বহন করতে পারে এবং গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। জিজেইউএস-এর তত্ত্বাবধানে উদ্যোক্তা অলিউর রহমান কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় বর্তমানে ৪-৫টি চর থেকে প্রায় শতাধিক খামারির কাছ থেকে নিয়মিত দুধ সংগ্রহ করছেন, যা এই উদ্যোগের ব্যাপকতা ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়।

গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার উপ-পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান জানান, “আমাদের লক্ষ্য শুধু দুধ সংগ্রহ নয়, বরং খামারিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে তাদের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এই নৌ-ট্যাঙ্কার চরাঞ্চলের ভঙ্গুর সরবরাহ শৃঙ্খলকে একটি শক্তিশালী ও আধুনিক কাঠামো দেবে।”

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম খান এই উদ্যোগকে ভোলার ডেইরি শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এটি খামারিদের দুধ উৎপাদনে উৎসাহিত করার পাশাপাশি জেলায় নিরাপদ ও মানসম্মত দুধের সরবরাহ বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। সরকারের প্রাণীসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যের সঙ্গে এই উদ্যোগ অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ।”

এই পরিবর্তনের প্রভাব ভোলার স্থানীয় বাজারেও পড়েছে। শহরের দুধ ব্যবসায়ী মোঃ অলিউর রহমান স্বস্তির সঙ্গে বলেন, “আগে চরের দুধের মান নিয়ে সংশয় ছিল। এখন খামার থেকে সরাসরি ঠান্ডা ও বিশুদ্ধ দুধ পাচ্ছি, যা আমাদের ব্যবসার ঝুঁকি কমিয়েছে এবং ভোক্তাদের আস্থা বাড়িয়েছে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট