গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়কে বৃহস্পতিবার প্রায় রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আনিস মিয়া ঠান্ডা (৩৭) নামে এক অটোবাইক চালক নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের, মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে, এবং একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, পত্রিকা বিক্রেতা।
জানা গেছে, আনিস মিয়া ঠান্ডা প্রায় ২০ বছর ধরে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পত্রিকা বিক্রি করেন। পত্রিকা বিক্রি করার পর প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি অটোবাইক চালান তার পরিবারের মুখে দু বেলা দু মুঠো খাবার তুলে দিতে। গতো বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত দুর্বৃত্ত যাত্রী সেজে স্টেডিয়ামের কাছে যাওয়ার কথা বলে তার অটোবাইকে ওঠে পড়ে। সেখানে যাওয়ার পর ওই দুর্বৃত্তরা আনিসের কাছে ধস্তাধস্তি করে অনেক করে অটোবাইকের চাবি চায়। তিনি চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা ছোড়া বের করে আনিসের পেটে এলোপাথারিভাবে আঘাত করার পর পেটের নাড়িভুড়ি বের করেণ বলে পরিবার সুত্রে জানা যায়। অটোবাইক নিয়ে ছিটকে পড়ে। এসময় আনিস অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকে। ফজরওয়াক্ত ভোরবেলা ওই সড়কে চলাচলকারী এক পথচারী আনিসকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে চিনতে পারে তার বাড়িতে খবর দেয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে আনিস তাঁর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ।এ বিষয়ে গাইবান্ধা পত্রিকা বিতানের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রহমান জানান, আনিস দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা শহরে পত্রিকা বিক্রি করে আসছেন। তিনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি, তিনি আরো বলেন কারা য়ে হায়নার বাচ্চারা যাঁরা স্যামান একটি অটো রিক্সার জন্য একটা পরিবার কে ঢংশো করে দেয় কেড়ে নেয় একটি মানুষের প্রাণ। এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুল হক তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, স্টেডিয়াম এলাকায় এক যুবক দুর্বৃত্তের আঘাতে। নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এখনও কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ঢিলে ঢালা উক্তি। কিন্তু গতো ২বছরে শুধু রংপুর বিভাগেই ৫০ টির উপর অটো রিক্সা অটোভ্যান চুরি ছিনতাই ডাকাতি ও চালকের ঘুন হয়।
আমরা সাংবাদিকরা অনুধাবন করছি যে এ-ই অটোচোর সিন্ডিকেট মনে হচ্ছে অনেক বড়ো সিন্ডিকেট থাকতে পারে দেশের অনেক বড়ো বড়ো মাফিয়া, তাঁরা এতোটাই ভয়ংকর হিংস্র যে যাদের কাছে মানুষের জীবন এর কোনও দাম নাই।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো, এ-ই ভয়ংকর পশু গুলো কে আইনের আওতায় আনুন কতো মা বাবা কতো বোন ভাই কতো সন্তান পৃত্রিহারা হচ্ছে। এই হিংস্র পশু গুলো সমাজের জন্য বিপদ জনক।