বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপ’-এ রূপ নিয়েছে। এই লঘুচাপ বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তীতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত এক আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়। এই লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বুধবারের পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, দেশের আটটি বিভাগেই দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
শুক্রবারের আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশেই দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে অবস্থান না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নৌযান এবং মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।