নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াস ব্লক এর কাজের প্রধান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।সরকারি এ অফিস বর্তমানে দূর্নিতে জরাজীর্ণ।যেহেতু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ গুলোতে কোন পরিদর্শন নেই।কাজ গুলো হচ্ছে একেবারে নিম্নমানের।
ঠিকাদার জনাব মোঃ ওমর ফারুক সাহেব যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়েছেন তা পরিদর্শনে গেলে এলাকার লোকজন যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠান নিজ হাতে তৈরী করেছেন তারা বলছেন আমরা এমন কাজ চায় না।কাজ একেবারে নিম্নমানের।সরকার বাহাদুর এমন কাজের বাজেট করেন নি।এ কাজ করলে বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের জীবন নাসের হুমকির সম্ভাবনা দেখছেন এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কাজ কারও হাতে দিলেই কি সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়।কিছু কিছু বিদ্যালয়ে কাজ চলছে সে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে ঠিকাদার সাহেব দেখা ও করেন নি।প্রধান শিক্ষককে সিডিউল এর কথা বললে এ কাজের কোন সিডিউল দেখাতে পারেন নি।তাহলে কেমন করে একজন প্রধান শিক্ষক কাজ বুঝে নিবেন।মেঝেতে ৮ ইঞ্চি পর পর রড দেয়ার কথা থাকলেও মিস্ত্রী সাহেব বলছেন মেঝেতে কোন রড দেয়া নাই।তাহলে ঠিকাদার ওমর ফারুক সাহেব কিসের ক্ষমতা বলে এ রকম অন্যায় কাজ করে যাচ্ছেন জানতে চায় এলাকার জনগন।
এর পরও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদারের সাথে যোগসূত্র আছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এমন যদি হয়ে থাকে তাহলে এ সোনার বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নিবে না।
গ্রামের নিরীহ মানুষ পেয়ে ঠিকাদার সাহেব যা খুশি তা করে কাজ করছেন।রশিদপড়া বিদ্যালয়ে পরিদর্শন এ গেলে বিদ্যালয় সংলগ্ন বাসার মালিক জনাব মোঃ মমিন সাহেব বলেন আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার আমার মেধাতে কোনক্রমেই আসে না এত নিম্নমানের কাজ কেমন করে হয়।ইট,খোয়া সবই ৩ নং,কাজের কোন ফিনিশিং নেই।আমি অনতিবিলম্বে উক্ত কাজটি পরিদর্শন মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়,নিয়ামতপুর,নওগাঁ দৃষ্টি একান্ত ভাবে কামনা করছি।