1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে অভিযোগ চলছে তদন্ত। বহাল তবিয়তে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভোলায় দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন ভোলায় খামারিদের বাজার সংযোগ বাড়াতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে জলঢাকা উপজেলা ছাত্রদল ও জলঢাকা পৌর ছাত্রদল এবং কলেজ শাখার স্মারকলিপি প্রদান। নীলফামারীতে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর ভোলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬টি হাতবোমা ও ৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ আটক -১ চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অর্থনীতি ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত এমপিও নামক সোনার হরিন কি আদৌ মিলবে?

পাওনা টাকা আদায়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নিরুপায় গৃহবধূর মৃত্যু

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

ধার নেওয়া ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।এমন বর্বরতার বিচার চেয়ে না পেয়ে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী বিষপান করেছেন। এতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৪ মে) ওই দম্পতি বিষপান করেন। পাঁচ দিন ধরে ‘বিষক্রিয়ার’ সঙ্গে লড়াই শেষে বুধবার (২৯ মে) দুপুরে গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই দম্পতির তিন বছরের এক শিশুসন্তান রয়েছে।

অভিযুক্ত ধর্ষকরা হলো—উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলপাড়া গ্রামের আবুসামার ছেলে জয়নাল মিয়া এবং তার সহযোগী কারিগরপাড়ার শুক্কুর কসাই, ডাকাতপাড়ার আলম কসাই ও টাঙ্গাইলপাড়ার সোলেমান।

গত ২২ মে (মৃত্যুর আগে) স্থানীয় কয়েকজনের কাছে দেওয়া জবানবন্দির একটি অডিও রেকর্ডে পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন ঐ গৃহবধূ। বর্ণনায় উঠে এসেছে কীভাবে জয়নাল ও সহযোগীরা মাসের পর মাস তাকে ধর্ষণ করেছে।

অডিও রেকর্ডে গৃহবধূ বলে গেছেন, আমার বাবা নেই। মা গৃহকর্মীর কাজে বিদেশে থাকেন। স্বামী টাঙ্গাইলে শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামীর ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় জয়নাল গত রমজান মাসের শুরু থেকে ধর্ষণ শুরু করে। পরে তার সহযোগী আলম কসাই, শুক্কুর কসাই ও সোলেমান দিনের পর দিন পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে তাদের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে বাধ্য হয়ে স্বামীকে বিস্তারিত ঘটনাটি জানাই। পরে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনও বিচার পাইনি।

মৃত্যুর আগে গৃহবধূ আরও জানান, পাওনা টাকার জন্য প্রথমে জয়নাল তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকে। পরে তার সহযোগী আলম, শুক্কুর ও সোলেমানকে নিয়ে এসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সে ভিডিও ধারণ করে, তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানাতে ভয় দেখায়। এরপর নানাভাবে হুমকি দিয়ে জয়নাল ও শুক্কুর বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে। তাদের পাশবিক নির্যাতনে বাধ্য হয়ে বিষপান করেন।

মৃত্যুর আগে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলে যান, এরপরও জয়নাল আবার ফোন দিয়ে আমার কাছে টাহার (টাকা) চাপ দেয়। আমি বলি কীসের টাহা। টাহার জন্য এতো কিছু। সংসারে অশান্তি। টাহা ফেরত দিলে আমার ইজ্জত ফেরত দিবা। দিনের পর দিন আমারে শেষ করছো। তখন জয়নাল হুমকি দিয়া কয়, টেহা কীভাবে তোলা লাগে দেখমু।

গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমি টাঙ্গাইল থাইকা ফিইরা দেখি বউয়ের শরীর ভাইঙ্গা গেছে। আমি জিগাইলে হে খালি কান্দে। পরে সব জানতে পারি। বিচার চাইলে তারা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। জয়নাল আমারে মাইরা ফেলার হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, ঘর করার জন্য আমি ২০ হাজার আর স্ত্রী ২০ হাজার নিয়েছিল। পরে ২০ হাজার পরিশোধ করেছি। বাকি টাকার জন্য এত কিছু ঘটে গেলো।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যসহ স্থানীয়দের কাছে বিচার দিলেও কোনও সমাধান মেলেনি। গত শুক্রবার গৃহবধূ ও তার স্বামী বিষপান করেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের রাজিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জামালপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু টাকা না থাকায় এই দম্পতি বাড়িতে চলে আসেন। বুধবার বাড়িতেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

জানা যায়, ওই দম্পতি বিষপানের পর স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ভুক্তভোগীদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে ঘটনা মীমাংসার করার সিদ্ধান্ত দেয়। জয়নাল ভুক্তভোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দিলেও তা নিতে অস্বীকৃতি জানান ওই দম্পতি।

ধর্ষক জয়নাল মিয়ার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি গোপন ছিল। আমরা জানতাম না। গৃহবধূর স্বামী একেকবার একেক কথা কয়। বিষ খাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য জয়নাল ২০ হাজার টাহা দিছে। হের স্বামী নেয় নাই।

ধর্ষণের ঘ্টনায় কীভাবে টাকা্র বিনিময়ে মীমাংসার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্ড মেম্বার বলেন, অভিযুক্তরাই মীমাংসার কথা বলেছিল। এখন জয়নাল ও শুক্কুর কই আছে আমার জানা নাই।

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু হলেও এটিকে অপমৃত্যু বলছেন রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ধর্ষণের কোনও অভিযোগ পাইনি। স্বামী-স্ত্রী বিষপান করেছিল। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর অবস্থা ভালো। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট