সান ফ্রান্সিসকো ফরটি-নাইনার্সের রিসিভার জুয়ান জেনিংস টাম্পা বে ব্যুকানিয়ার্সের বিরুদ্ধে ১৯–৩০ পয়েন্টের হারের পর জানালেন, তিনি খেলছেন পাঁচটি ভাঙা পাঁজর, হাই-অ্যান্ড লো-অ্যাঙ্কেল স্প্রেন এবং ২০ শতাংশ কার্যক্ষমতা হারানো কাঁধ নিয়ে; তবু মাঠ ছাড়েননি, কারণ “ইনজুরি ফুটবলের অংশ, কেউ কষ্ট পেলে থামাতে আসে না”।
রবিবার রেমন্ড জেমস স্টেডিয়ামে নাইনার্স ১৯–৩০ ব্যবধানে হারলেও ২৮ বছর বয়সী জেনিংসের লড়াই ছিল দলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। প্র্যাকটিসে সীমিত অংশগ্রহণের পর ‘প্রশ্নবোধক’ তালিকায় থাকা এই রিসিভার মাঠে নামেন, ৩ টার্গেটে ১ ক্যাচ মাত্র ৭ গজ পান; তবে তার উপস্থিতিই দলকে মানসিক চাপ কমায় বলে জানান কোচ কাইল শানাহান।
“সে পূর্ণ স্পিডে অনুশীলনই করতে পারেনি; তবু খেলতে পারায় আমি খুশি,” বলেন শানাহান। জেনিংস পাঁজরের চোট পান উইক-৪-এ জ্যাকসনভিল জ্যাগুয়ার্সের বিপক্ষে হোম হারের ম্যাচে। চার ম্যাচে এখন তার ঝুলিতে ১০ ক্যাচ, ১৩৬ গজ ও ১ টাচডাউন।
কোয়ার্টারব্যাক ম্যাক জোনস বলেন, “সে না খেললেও পারত; কিন্তু লড়াই করে মাঠে নেমেছে। দলের ডিএনএ-ই তার মধ্যে।” ১৫তম সিজন খেলা লেফট ট্যাকল ট্রেন্ট উইলিয়ামস (৩৭) যোগ করেন, “আমরা সবাই কিছু না কিছু নিয়ে খেলছি; জুয়ানের মতো লোকের দরকার আমাদের।”
নাইনার্সের ইনজুরি তালিকা দীর্ঘ—অল-প্রো লাইনব্যাকার ফ্রেড ওয়ার্নার গত ম্যাচেই সিজন-এন্ডিং ডান-পায়ের অ্যাঙ্কেল ইনজুরিতে পড়েছেন; রিসিভার রিকি পিয়ার্সাল, জর্ডান ওয়াটকিনস রবিবারের ম্যাচে নিউই-ঘাতে ছিলেন; ব্র্যান্ডন আইয়ুক (হাঁটু) সিজন শুরু থেকেই বাইরে; অল-প্রো টাইট এন্ড জর্জ কিটল হ্যামস্ট্রিং নিয়ে গেম-১ থেকে ইনজুরড রিজার্ভে, তবে এ সপ্তাহে প্র্যাকটিসে ফিরতে পারেন।
২০২০-এর সেভেন্থ রাউন্ড ড্রাফট পিক জেনিংস ক্যারিয়ারে ৬৪ রেগুলার-সিজন গেমে (২১ স্টার্ট) ১৬৫ ক্যাচ, ২,০৭৪ গজ, ১৪ টিডি; প্লে-অফে ৯ ম্যাচে রিজার্ভ হিসেবে ২০ ক্যাচ, ২২১ গজ ও ১ টাচডাউন করেছেন।